প্রবল বৃষ্টিপারের জের, জলে ভাসলো খনি অঞ্চল, বন্ধ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা
আমার কথা, লাউদোহা, ২ আগস্ট:
রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন অন্ডাল দুর্গাপুর ফরিদপুর (লাউদোহা ) ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। টুমনী নদীতে জলোচ্ছ্বাসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে পাণ্ডবেশ্বর থেকে গৌরবাজার, বৈদ্যনাথপুর থেকে বাসুদেবপুর যাওয়ার রাস্তা।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। রাতভর একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অন্ডাল ও দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাতে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বেশ কিছু রাস্তা। অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধীন পান্ডে জানান এলাকার মাঝিপাড়া, দুপচুরিয়া বাজার, তামলা, শর্করা এলাকায় জল জমে রয়েছে। অন্ডাল পোস্ট অফিস মোড়ে রেলের সাবওয়েতে উপচে পড়ছে জল। ফলে সাবওয়ে দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে দিকনালা, অন্ডাল বাজারের সাথে অন্ডাল রেলস্টেশন, রামপ্রসাদপুর শ্রীরামপুর, মদনপুর এর যোগাযোগ ব্যবস্থা। অন্ডাল মোড় থেকে থার্মাল পাওয়ার যাওয়ার রাস্তাতেও জল জমে থাকাই অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে সংস্থার কর্মীদের। রামপ্রসাদপুর পঞ্চায়েতের বাউরি পাড়াতে বেশ কয়েকটি মাটির ঘরের ক্ষতি হয়েছে। বাগদী পাড়াতে মূল নিকাশি নালা জলমগ্ন হওয়ার কারণে জল দাঁড়াচ্ছে গোটা এলাকাতে। এমনকি রামপ্রসাদপুর পঞ্চায়েত অফিসেও দাঁড়িয়ে রয়েছে হাঁটু সমান জল। শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত এলাকাতেও একই জলছবি লক্ষ্য করা যায় শুক্রবার সকালে। সিঙ্গারার নদীতে জলোচ্ছ্বাসের কারণে শ্রীরামপুর থেকে গোপালমাঠ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভেঙে পড়েছে উখরা সুকোবাঁধের পাড়। বাঁধ ভাঙ্গার কারণে পার্শ্ববর্তী আমলৌকা, বাঙ্গুরি, তামলা গ্রাম ভাসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
অন্ডালের পাশাপাশি টানা বৃষ্টির কারণে জল যন্ত্রণার ছবি ফুটে উঠেছে দুর্গাপুর ফরিদপুর (লাউদোহা) ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাতে। গোগলা পঞ্চায়েতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু কাঁচা বাড়ি। জলোচ্ছাসের কারণে গৌরবাজার পঞ্চায়েত এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টুমনি নদীতে জল বিপদসীমার উপর বইছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বৈদ্যনাথপুর থেকে বাসুদেবপুর যাওয়ার রাস্তা। মাধাইপুর থেকে গৌরবাজার, শ্রীকৃষ্ণপুর, আমদৈহি আসা-যাওয়ার রাস্তাটিও সকাল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত ঘরবাড়ি, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির কোন সরকারি পরিসংখ্যান সামনে আসেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সব জায়গার খবর নেওয়ার পরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে ব্লক আধিকারিকরা জানান।