টানা বৃষ্টিপাতে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের, বিপর্যস্ত খনি অঞ্চল
আমার কথা, আসাসোল, ১৬ সেপ্টেম্বরঃ
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসানসোল সহ খনি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। আসানসোলের বারাবনি ব্লকের ইটাপাড়া পঞ্চায়েতের রানীগঞ্জ চটি গ্রামে গোয়াল ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৫) নামে এক ব্যক্তির। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে সোমবার সকালে ওই গোয়াল ঘরে বেশ কয়েকটি গরু ছিল । সেগুলিকে সেখান থেকে বের করে আনার সময় গোয়াল ঘরের একটি দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে । তাতে চাপা পড়ে যান অশোক বাবু। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। অন্যদিকে জামুরিয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাদ্যকর পাড়াতে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে প্রায় ১০-১২ টি মাটির কাঁচা বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে । অসহায় পরিবার গুলির থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকেও টানা বৃষ্টির কারণে প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। ক্ষতি হয়েছে বহু কাঁচা বাড়ির। পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের দেওয়া হয়েছে ত্রিপল। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি। সেই কারণে সেখানে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। রবিবার থেকে সেই ত্রাণ শিবিরে রয়েছে ১০-১২ টি পরিবার। পাণ্ডবেশ্বর এর বিডিও দেবাঞ্জন দত্ত বলেন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল ও ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষা চলছে প্রশাসন সব রকম ভাবে বিপর্যয় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি । নিম্নচাপ বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে কয়লা খনি শিল্পেও। ইসিএলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নীলাদ্রি রায় জানান ২৬ টি খোলা মুখ খনি থেকে এক লক্ষ টন কয়লা উৎপাদন হয় প্রতিদিন। শনিবার তিরিশ হাজার টন উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছিল । কিন্তু বৃষ্টি পড়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতে রবিবার কোন উৎপাদন হয়নি। সোমবারও পরিস্থিতি একই রকম রয়েছে। শনি ও রবিবার দু’দিনে প্রায় ৫৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।