দূষণ রোধে সবুজায়নের লক্ষ্যে শিল্পপতিদের নিয়ে দুর্গাপুর প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৯ জুলাইঃ
শুধু দখলমুক্ত করলেই শহরের সৌন্দর্যায়ণ হয় না, শহরকে সাজাতে গেলে দরকার সবুজায়নও। তাই ‘ক্লিন সিটি গ্রিন সিটি’ কর্মসূচী নিয়ে মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে একটি বৈঠক করা হয় দুর্গাপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এদিন মূলতঃ দুর্গাপুর মহকুমার অন্তর্গত শিল্পতালুকের বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্পপতি ও উদ্যোগপতিদের নিয়ে এই বৈঠকটি করা হয়।।
প্রসঙ্গতঃ সরকারী নিয়ম অনুসারে বেসরকারী কারখানার জন্য যখন সরকার থেকে জমি দেওয়া হয় তখন এই মর্মে দেওয়া হয়, মোট জমির ৩৩ শতাংশ অংশে গাছ লাগাতে হবে, অর্থাৎ সবুজায়নের জন্য ছেরে রাখতে হবে। কেউ সেই শর্ত পালন করেন আবার কেউ করেন না। কিন্তু এবার ‘সেই শর্ত মানতেই হবে’ এমনটাই বার্তা দেওয়া হল এদিনের বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন আসান্সোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, দুর্গাপুর মহকুমা শাসক সৌরভ চ্যাটার্জি, পরিবেশ দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকগণ, বন দপ্তরের আধিকারিকগণ।
এডিডিএ এর চেয়ারম্যান কবি দত্ত জানান, “আজকের এই বৈঠকে আমরা বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষদের কাছে আবেদন রাখি গাছ লাগানোর বিষয়ে। শুধু তাই নয় সাথে আমরাও এটাও বললাম গাছ লাগিয়েই সেটা ভুলে যাবেন না। গাছ গুলোকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্বও আপনাদের। আমরা এটাও চিন্তাও করেছি যে, যারা সারা বছর ধরে সব থেকে ভাল কাজ করবে তাঁদের আমরা পুরস্কৃতও করবো। এছাড়াও আমরা একটি সফটওয়ার আনার চিন্তা ভাবনাও করছি। সেই সফটওয়ারের কাজ হবে কারা গাছ লাগাচ্ছেন আর সেই গাছ লাগিয়ে ঠিক মতো যত্ন করা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে নজরদারি করবে”
শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুর যা গড়ে উঠেছে ছোট বড় সরকারী বেসরকারী কারখানা নিয়ে। স্বভাবতই কারখানায় পরিবেষ্টিত এই শহরে দূষণের মাত্রাও কম নয়। দূষণের কারনে নানা রোগেও আক্রান্ত হন শহরের বাসিন্দারা। সেই দূষনের হাত থেকে রক্ষা পেতে দরকার সবুজায়নের। আর সবুজায়নের জন্য দরকার গাছ লাগানো। শুধু গাছ লাগানোই নয়, গাছ লাগিয়ে সেই গাছকে যত্ন করে বড়ো করে তোলা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই এদিনের বৈঠক। দুর্গাপুর ও সংলগ্ন শিল্পতালুক থেকে প্রায় দুশো জন ক্ষুদ্র, বৃহৎ কারখানার মালিকরা এই বৈঠকে যোগ দেন, সাথে তাঁরা দুর্গাপুর প্রশাসনের এই আবেদনে সাড়া দেন।