করোনা আবহে পরিবেশ সহ মনুষ্য শরীরকে জীবানুমুক্ত করতে দুর্গাপুরের CMERI এর নতুন আবিষ্কার
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১২এপ্রিলঃ
বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে চলছে মৃত্যু মিছিল। ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে করোনার থাবা লাখের উপরে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। বাদ পড়েনি এই দেশ কিংবা এই রাজ্য। করোনা ভাইরাসের থেকে মুক্তি পেতে সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে গবেষণা। এরকমই এক গবেষণা করে জীবানুমুক্তির নতুন যন্ত্র আবিষ্কার করে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে দুর্গাপুরের CMERI এর গবেষকরা। দুর্গাপুরের কেন্দ্রীয় গবেষণাগার সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট(CMERI) ‘ডিসইনফেকশন ওয়াক ওয়ে’ নামে একটি জীবানুমুক্তির কক্ষ তৈরি করল যা মানব শরীরের জীবানুমুক্ত করবে বলে জানান ওই গবেষণাগারের ডিরেক্টর ডঃ হরিশ হিরানী।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী এই জীবানুমুক্তির কক্ষ হাসপাতাল, দপ্তর, শপিং মল, স্টেশন সহ মানুষজনের বিভিন্ন কর্মস্থলকে সুরক্ষিত রাখতে দুর্দান্ত কাজ করবে বলে দাবি করছেন এই গবেষণাগারের গবেষকরা।
প্রসঙ্গতঃ বিজ্ঞানী মলয় কর্মকারের তত্বাবধনে এই যন্ত্রটি তৈরি হয়েছে যার বাজার মূল্য পড়বে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মতো। জানা গেছে, এই কক্ষটি সম্পূর্ণ কাঁচ দিয়ে তৈরি। এর ভেতরে দাঁড়ালে দুটি স্বয়ংক্রিয় স্প্রেয়ার দিয়ে ইথাইল, সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ও পারফিউমের মিশ্রণ স্প্রে করা হবে মানবদেহে। ২০ সেকেন্ড ধরে চলবে এই প্রক্রিয়া। এরপরেই মনুষ্য শরীর জীবানুমুক্ত হয়ে যাবে বলে দাবি করছেন ডিরেক্টর ডঃ হরিশ হিরানী। পাশাপাশি CMERI এর গবেষণাগারে তৈরী হয়েছে “ট্রাক্টর মাউন্টেড ডিসইনফেক্টেন্ট ইউনিট’ নামে আরো একটি যন্ত্র। এই গাড়িটির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকা থেকে শুরু করে অফিস, শপিং মল, আবাসন, ক্রীড়াঙ্গন ইত্যাদি জীবানুমুক্ত করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই আসানসোল পুরসভা থেকে এরকম ৪টি ট্রাক্টরের অর্ডার করা হয়েছে, যার একটি ইতিমধ্যেই CMERI পক্ষ থেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অপর ট্রাক্টরটি আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার তাদের হস্তান্তর করা হবে। CMERI সুত্রে জানা গেছে আগামীকাল ওই ট্রাক্টরটি আসানসোল যাওয়ার পথে বিগবাজার শপিং মল, মহকুমা সাসকের দপ্তর, জাংশন মল সহ গান্ধী মোড় এলাকা জীবানুমুক্ত করে তারপর আসানসোলের পথে রওনা দেবে।