মন্ত্রী পেল দুর্গাপুর, খুশির হাওয়া শিল্পাঞ্চলে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৩ আগস্টঃ
রাজ্যে মন্ত্রীসভায় রদবদল। নয়জন মন্ত্রীত্ব পেলেন যার মধ্যে আটজনই নতুন মুখ। এই নয়জনের মধ্যে পাঁচজন ক্যাবেনেট মন্ত্রী হলে। দুজন হলেন রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রী ও দুজন হলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। এই দুই পূর্ণমন্ত্রীর মধ্যে একজন হলে কৃষি উপেদেষ্টা তথা দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। দীর্ঘ কয়েক বছর পর মন্ত্রী পেল দুর্গাপুর। বাম আমলে দুর্গাপুর পেয়েছিল বিদ্যুতমন্ত্রী মৃণাল ব্যানার্জিকে৷ কিন্তু তারপর থেকে আর কোনো মন্ত্রী পায়নি এই শিল্পাঞ্চল। ২০১৬ সালেই প্রদীপ মজুমদারকে মন্ত্রী করবেন মমতা বন্দোপাধ্যায় এরকম একটি হাওয়া উঠেছিল। কিন্তু ওই বছর বিধানসভা নির্বাচনে প্রদীপ মজুমদারের পরাজয়ের কারনে মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছে অপূর্ণই রয়ে গেছিল। আজ মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছে পূরণ হল। এদিকে মন্ত্রী হয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রদীপবাবু বলেন দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা দুই বেড়ে গেল। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে দায়িত্বভার আমাকে দিয়েছেন আমি তা৷ অবশ্যই মানব হিতে কাজে লাগাবো। এদিকে দুর্গাপুরের বিধায়ক মন্ত্রী হওয়াতে স্বভাবতই খুশির হাওয়া শিল্পাঞ্চল জুড়ে। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের ৩২ নং ওয়ার্ডের পুরপিতা মানস রায় প্রদীপ মজুমদারের মন্ত্রী হওয়ার আনন্দে ওয়ার্ডবাসীদের মিষ্টিমুখ করান৷
যদিও দফতর বন্টন হয়নি এখনও। ফলে প্রদীপ মজুমদার কোন দফতরের মন্ত্রীত্ব পাবেন নিয়েও বেজায় উৎকন্ঠায় আছেন দুর্গাপুরের বাসিন্দারা। জোর চর্চাও চলছে এই বিষয়ের উপর। কৃষি বন্ধু নামে পরিচিত প্রদীপবাবু কি তাহলে কৃষিমন্ত্রী হবেন, নাকি শিল্প ও বানিজ্য দফতরের দায়িত্বই তাঁর হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী? পাশাপাশি অবশ্য এই আলোচনাও চলছে যেহেতু প্রদীপবাবু গ্রামে গঞ্জে ঘুরে ঘুরে কাজ করেন সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্বও তাঁকে দেওয়া হতে পারে। তবে আখেরে কোন দফতরের মন্ত্রীত্ব পাবেন তার থেকেও বড় বিষয় যেটি সেটি হল দুর্গাপুর পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে এই মাসেই আর তারপরেই পুরভোট। ফলে এই ভোটের আগে দুর্গাপুর একজন মন্ত্রী রূপে অভিভাবককে পেয়ে বেশ খুশি।