আন্তর্জাতিক মানের বাস টার্মিনাস হতে চলেছে এবার দুর্গাপুরে
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২ জুলাইঃ
এতদিন লাল ফিতের ফাঁসে আটকে ছিল যে পরিকল্পনা, এবার সেই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ পেতে চলেছে। শহর দুর্গাপুরের চেহারায় আমুল পরিবর্তন আসতে চলেছে আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে। এমনটাই জানালেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে শহরবাসী উপহার পেতে চলেছে একটি আন্তর্জাতিক মানের বাস টার্মিনাস।
২০১৮ সালে কবি দত্ত দুর্গাপুর বনিকসভার সভাপতি থাকাকালীন একটি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব রেখে ছিলেন দুর্গাপুরে একটি আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস(ISBT) করার জন্য। সেই প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেতও দিয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি পরিবহন দপ্তরের সচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু নানা আইনি জতিলতায় সেই প্রস্তাব আর বাস্তবায়িত হয়নি।
ছয় বছর পেরিয়ে তৎকালীন বনিকসভার সভাপতি বর্তমানে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদের চেয়ারম্যান। সপ্তাহ খানেক হয়েছে তিনি এই পদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আর দায়িত্বভার নিয়েই তিনি ফের একবার ওই আন্তঃরাজ্য বাস তার্মিনাসের বিষয়টি বাস্তবে রূপ দিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এই বিষয়ে একতি প্রশাসনিক বৈঠক হয় দুর্গপাপুর মহকুমা শাসকের নতুন ভবনে। এই বৈথকে উপস্থিত ছিলেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী সহ এডিদিএ এর চেয়ারম্যান, মহকুমা শাসক, দুর্গাপুর পুরনিগমের চেয়ারপার্সন, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান সহ পুলিশ আধিকারিকগণ।
এদিনের বৈঠক শেষে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, ডিভিসি মোড় সংলগ্ন বিওজিএল(ভারত অপথ্যালমিক গ্লাস লিমিটেড) এর পরিত্যক্ত জমিতে প্রস্তাবিত বাস টার্মিনাস তৈরির পরিকিল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদিও এটি এখন প্রাথমিক স্তরেই রয়েছে। একটি ডিপিআর তৈরি করে তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। তাড়াতাড়ি অনুমোদন পেয়ে গেলে ২০২৫ এর মধ্যে এই বাস টার্মিনাল দুর্গাপুরবাসীদের জন্য চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিন মন্ত্রী আরো জানান, দুর্গাপুরের মানুষদের অনেকদিনের চাহিদা ছিল, সেই চাহিদা অনুযায়ী সৃজনীর মতোই আরো একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরী করা হবে যাতে থাকবে একটি আর্ট গ্যালারিও। এছাড়াও গান্ধী মোড় থেকে ডিভিসি মোড় পর্যন্ত্য জাতীয় সড়কের ধারগুলি সুসজ্জিত করে গড়ে তোল হবে। পাশাপাশি নতুন বর্জ্য নিষ্কাশ্ন কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে।
এই বিষয়টি জানার পরেই বেশ খুসি শিল্পাঞ্চলবাসী।