“মেয়ে আমাদের সুস্থ হয়ে গেছিল, ওরা মেরে ফেললো”- দুর্গাপুরে সরকারী হাসপাতাল উত্তাল
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৩ জুনঃ
ভুল চিকিৎসার কারনে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরীর, এই অভিযোগে হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ, ভাঙচুর চালালেন রোগীর পরিবার পরিজনেরা। হাসপাতালে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী, নামে কমব্যাট ফোর্সও। ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর জে সি বোস এলাকার বাসিন্দা দশম শ্রেণীর ছাত্রী নিশা কুন্ডু(১৪) বুকে ব্যাথা নিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। ভর্তির পর সুস্থ হয়ে যায় নিশা বলে দাবি তার পরিবারের। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে ৩০ নাগাদ হাসপাতাল থেকে জানানো হয় নিশা মারা গিয়েছে। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্ত্বর। রোগীর পরিজনেরা গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে৷ সিসিইউ বিভাগে কাঁচ ভাঙচুর করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
নিশার কাকা, রাজা কুন্ডুর অভিযোগ, “আমাদের মেয়ে পায়ে হেঁটে হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়। মেয়ে আমাদের সুস্থ হয়ে গেছিল। কিন্তু ভুল চিকিৎসায় যে এভাবে নিশা মারা যাবে ভাবতেও পারিনি”।
রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে একজন ট্রেনি নার্সের ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়াতেই নিশার মৃত্যু হয়েছে। সঠিক বিচার চেয়ে কড়া আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে মৃত কিশোরীর পরিবার।
হাসপাতাল সুপার ডা: ধীমান মন্ডল বলেন, ” তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কিভাবে আর কি কারনে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে৷ তবে ট্রেনি নার্সের যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়। নার্সদের সাথে থাকেন ওনারা। পুলিশ নিজের মতো করে তদন্ত করবে৷ তদন্তে যা বেরোবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।