প্রতিশ্রুতি রাখেনি ইসিএল কর্তৃপক্ষ, অভিযোগে সোনপুর বাজারী প্রজেক্টে বিক্ষোভ জমিদাতাদের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর ), ২ আগস্টঃ
ইসিএলের সোনপুর বাজারি প্রজেক্টে জমির বিনিময়ে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল জমিদাতারা। পরে সংস্থার এক আধিকারিকের হস্তক্ষেপে এদিনের মত বিক্ষোভ উঠে।
খনির জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছে ইসিএল সংস্থা। অথচ দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেল ও চাকরি পায়নি জমিদাতারা এমনটাই অভিযোগ জমিদাতাদের। দ্রুত সংস্থায় নিয়োগ করতে হবে তাদের এই দাবিতে সোমবার সোনপুর বাজারি প্রজেক্টে বিক্ষোভ দেখায় জমিদাতারা। জমিদাতাদের সংগঠন ল্যান্ড লুজার কমিটির তরফে সচীনাথ চক্রবর্তী জানান ,১৯৮৪ সালে ইসিএল জমি অধিগ্রহণ করেছিল। সেই সময় নিয়ম ছিল এক একর জমির বিনিময়ে একটি চাকরি দেওয়ার নীতি। তিনি জানান মাঝে ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ইসিএলে জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার নিয়ম বন্ধ ছিল। ১৯৯৪ সালে সেই প্রতিবন্ধকতা উঠে গেলে জমিদাতারা তাঁদের জমির সমস্ত কাগজপত্র ইসিএলের দপ্তরে জমা করেন।
অপর জমিদাতা মৃন্ময় ব্যানার্জি জানান, তাঁদের জমির সমস্ত কাগজপত্র ইসিএলের দপ্তরে দেওয়া আছে এবং তিনি আরো জানান ইসিএলের সদর দপ্তর থেকে তাঁদের চাকরিগুলো নিয়ে বারবার টালবাহানা করা হছে। একশো বারো জন জমি দিয়ে এখনো নিয়োগপত্র পাইনি। তিনি জানান শীঘ্রই ইসিএলের তরফে তাঁদের চাকরি সংক্রান্ত ব্যাপারে সদর্থক পদক্ষেপ না নিলে তাঁরা সংস্থার সোনপুর বাজারি প্রজেক্ট বন্ধ করে দেবেন ।
শোনপুর বাজারি প্রজেক্টের ডেসপ্যাচার কাছে যখন চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভকারীরা এদিন জমা হন খনির বন্ধ করার জন্য, সে সময় ইসিএলের সোনপুর বাজারি প্রজেক্টের জেনারেল ম্যানেজার চাকরি প্রার্থীদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন। জেনারেল ম্যানেজারের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে বিক্ষোভ বন্ধ রেখে তার সাথে আলোচনায় বসেন। ওই আধিকারিক জানান জমিদাতাদের দাবি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমস্যার সমাধান করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।