ধস প্রবণ হরিশপুর গ্রাম পরিদর্শন করে বিপদের কথা মানলেন ইসিএলের সিএমডি

আমার কথা, অন্ডাল, ২৩মার্চ:
ধস প্রবণ হরিশপুর গ্রাম বসবাসযোগ্য নয়, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। বাসিন্দাদের অন্যত্র চলে যাওয়া উচিত, হরিশপুর গ্রাম পরিদর্শনে এসে এমন আশঙ্কার কথাই জানালেন ইসিএলের সিএমডি সতীশ কুমার ঝাঁ। গ্রামবাসীরা চাইলেন উপযুক্ত পুনর্বাসন।
কয়লাখনি অঞ্চলের ধস প্রবণ বিপদজনক এলাকা গুলির মধ্যে অন্যতম হলো মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিশপুর গ্রাম। ২০২০ সালে এখানে বড় ধরনের ধসের ঘটনা ঘটে। ঘর বাড়িতে দেখা দেয় ফাটল, চাষ জমি বসে যাই মাটির নিচে। সে সময় প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। জোর তার হয়েছিল পুনর্বাসনের দাবি। এই দাবিতে লোকসভার উপনির্বাচন এমনকি গত বিধানসভা ভোট বয়কট করেছিল বাসিন্দারা। কিন্তু পুনর্বাসনের কাজ কিছুই হয়নি, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আবার গ্রামে ফিরে বসবাস শুরু করেছেন বাসিন্দারা। সম্প্রতি ইসিএলে সিএমডি হিসেবে যোগ দিয়েছেন সতীশ কুমার ঝাঁ। কিছুদিন আগে গ্রামবাসীদের একটি প্রতিনিধি দল পুনর্বাসন নিয়ে সতীশ বাবুর সঙ্গে আলোচনা করেন। কয়েকদিন আগে একই বিষয় নিয়ে সিএমডির সাথে দেখা করেন রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সতীশ বাবুকে এলাকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান। রবিবার সতীশবাবু এলাকা পরিদর্শনে আসেন। তার সাথে ছিলেন ই সি এল এর কাজ ওরা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার ও অন্যান্য আধিকারিকেরা । গোটা গ্রাম ঘুরে দেখেন তারা। পরিদর্শনের পর মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের । সতীশ বাবুর স্বীকার করেন এলাকাটি সুরক্ষিত নয়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে বাসিন্দারা। তিনি বাসিন্দাদের পরামর্শ দেন দাবি-দাওয়া নিশ্চয়ই পূরণ হবে, তবে তার আগে এই জায়গাটি ছেড়ে সুরক্ষিত জায়গায় পরিবার নিয়ে আপনাদের বসবাস করা উচিত। আগে জীবন বাঁচান। পাশাপাশি তিনি বলেন পুনর্বাসনের জন্য অন্ডাল বিমান নগরীতে এডিডিএ আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। আবাসন তৈরি হয়ে রয়েছে। সেই আবাসন আপনারা গ্রহণ করুন । আপদকালীন ব্যবস্থা হিসাবে ইসিএলও গ্রামবাসীদের পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দেন সতীশ বাবু। গ্রামবাসীদের পক্ষে তপন পাল বলেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামে বসবাস করছি। সিএমডি এসেছিলেন, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন । আশা করি এবার পুনর্বাসনের দাবি পূরণ হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন বিমান নগরীতে দুটি ভাগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে শুনেছি, আমরা তাতে রাজি নই। সোনপুর বাজারীর মতো পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হলে আমরা রাজি আছি বলে জানান তিনি।