বিরুডিহার ব্যবসায়ী অপহরণে যুক্ত ইসিএল কর্মী?
আমার কথা, বুদবুদ, ২৬ জানুয়ারীঃ
পানাগড় বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় ১৩ দিনের মাথায় ঘটনার সাথে যুক্তদের গ্রেপ্তার করলো বুদবুদ থানার পুলিশ। রবিবার রাত আটটা নাগাদ বুদবুদ থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত। এছাড়াও ছিলেন বুদবুদ থানার ওসি মনোজিৎ ধারা,কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল সহ পুলিশ আধিকারিকরা।
ডিসিপি জানিয়েছেন গত ১৩ তারিখ তারা একটি অপহরণের খবর পান। ঘটনার তদন্তে নেমে তারা জানতে পারেন চলতি মাসের গত ১০ তারিখে পানাগড় বাইপাস সংলগ্ন এলাকা থেকে কাঁকসার বিরুডিহার বাসিন্দা, জয়ন্ত গড়াই নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণের ঘটনায় মুক্তিপণ হিসেবে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা রফা হলেও প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মত দেওয়ার পর তাকে মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের কাছে ওই ব্যবসায়ী অভিযোগ জানায় যে জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে তাকে পাঁচ থেকে ছয় জন দুষ্কৃতী অপহরণ করার পর তাকে মারধর করে তার কাছ থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ নেয়। কারা তাকে অপহরণ করেছিল সেই বিষয়ে তিনি সঠিক তথ্য দিতে পারছিলেন না। বুদবুদ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্ত করার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অবশেষে প্রায় ১৩ দিনে অপহরনের ঘটনার কিনারা করে।
অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন ভাবে তদন্ত করে অবশেষে বেশ কিছু সূত্র পাওয়া যায়। সেই সুত্র ধরে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় একটি মোটরসাইকেল ও একটি চার চাকা গাড়ি। সোমবার ধৃতদের মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগজিন, একটি ধারালো অস্ত্র,প্রায় ১লক্ষ ১২হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল। ধৃতরা হল অভিজিৎ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় খাওয়াস, সঞ্জীব বিশ্বাস, সোহম চ্যাটার্জি এবং বিমলেশ কুমার ঠাকুর। এদের সকলেরই বাড়ি দুর্গাপুর এবং কাঁকসা এলাকায়। এই ঘটনার সাথে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের মধ্যে একজন ই.সি. এল -এ চাকরি করেন। তবে প্রাথমিকভাবে এই তথ্য পাওয়া গেলেও বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখে ঘটনার সত্যতা যাচাই করা হবে। অন্যদিকে ধৃতদের মধ্যে দুজন বি.টেক পাশ করা যুবক রয়েছে। সেই বিষয়টাও তারা খতিয়ে দেখছেন।