ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি হানা, অপরদিকে কয়লা কান্ডে দুজনকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের
আমার কথা, আসানসোল, ২১ জুন:
বৃহস্পতিবার কয়লা পাচার কাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। শুক্রবার রানীগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিল ইডি-র দল। জোড়া কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতায় ফের একবার চাঞ্চল্য ছড়ালো পশ্চিম বর্ধমানে।
লোকসভা ভোট মিটতেই ফের সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গুলিকে, যা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। শুক্রবার সাত সকালে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডির এর একটি দল হানা দেয় রানীগঞ্জ শহরে। শহরের শিশুবাগান সংলগ্ন এনএসবি রোডের বাসিন্দা প্রয়াত শিল্পপতি চন্ডী কেডিয়ারের বাড়িতে হানা দেয় তারা। চারটি গাড়িতে করে
ভোর পাঁচটা নাগাদ ইডি দলের আধিকারিকেরা পৌছায় ওই ঠিকানাতে। বাড়ির ভেতর তল্লাশির সময় বাইরে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানেরা। উল্লেখ্য শিল্পপতি চন্ডী কেডিয়া প্রায় বছর ১৫ আগে দুর্ঘটনায় মারা যান। দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, কলকাতা সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে তার বেশ কয়েকটি কল কারখানা ও ব্যবসা। বর্তমানে তার চার পুত্র প্রদীপ, সন্দীপ, কুলদীপ ও দিলীপ কেডিয়া এই ব্যবসা গুলি সামলান। তবে ঠিক কোন ব্যবসা বা কি কারণে এই তল্লাশি তা কিন্তু জানায়নি ই ডি আধিকারিকেরা।
অন্যদিকে এদিন শুক্রবার কয়লা পাচার মামলাতে নরেশ কুমার সাহা ও অশ্বিনী কুমার যাদব নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য নরেশ কুমার সাহা ইসিএল এর কাজোরা এরিয়ার প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার পদে ছিলেন, আর ধৃত অশ্বিনী কুমার যাদব কয়লা ব্যবসার সাথে যুক্ত বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। এই দু’জনকে বৃহস্পতিবার তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উত্তরে অসংগতির কারণে গভীর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে পেশ করা হয় আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের এজলাসে। সিবিআই দু’জনকেই নিজেদের হেফাজতের আবেদন জানান বিচারকের কাছে। ৪ দিনের হেফাজত পান তারা।