লকডাউনের প্রভাব, অসহায় দুটি পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(লাউদোহা), ২১মেঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই ব্যক্তির অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি তাদের বাড়ি নিয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য দিয়ে এলেন এলাকার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । বিধায়কের মানবিকতা প্রতি কৃতজ্ঞ জানান পরিবারের সদস্যরা ।
দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সংক্রমনের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যে জারি হয়েছে আংশিক লকডাউন। লকডাউন এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন। দোকান, হাট, বাজার বলতে গেলে এক প্রকার বন্ধই। বন্ধ রয়েছে সরকারি ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজও। যার জেরে অনেক পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। লাউদোহার প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের কাঁটাবেড়িয়া গ্রামের শক্তিপদ সাধু ও উত্তম দাস এর পরিবারেও প্রভাব পড়েছে লকডাউনের। শক্তিপদ বাবু, উত্তম বাবুদের এতদিন সংসার চলত চা-জল খাবারের দোকানের উপার্জন দিয়ে। লকডাউন এর কারণে দোকান বন্ধ। ফলে দুটি পরিবারে নেমে এসেছে সংকট। অভুক্ত অবস্থায় রয়েছে পরিবার দুটি। এলাকার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিবার দুটির অসহায়ত্বের কথা পোস্ট করেন জনৈক অজিতকুমার ঘাঁটি নামে এক ব্যক্তি। পোস্টটি নরেন্দ্রনাথ বাবুর নজরে আসতেই তিনি পরিবার দুটির সম্পর্কে খোঁজখবর নেন দলের স্থানীয় কর্মীদের কাছ থেকে। পরিবার দুটির বর্তমান অবস্থার কথা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও নরেন্দ্রনাথ বাবু লাউদোহা থানার পুলিশ আধিকারিক সুদীপ্ত প্রামানিককে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য সামগ্রী নিয়ে পৌছে যান পরিবার দুটির বাড়িতে। আচমকা বিধায়কের উপস্থিতিতে হকচকিয়ে যাযন পরিবারের সদস্যরা। এক মাসের মতো প্রয়োজনীয় চাল,ডাল সহ অন্যান্য আনাচ সামগ্রী পরিবার দুটির হাতে তুলে দেন বিধায়ক। সাহায্য পেয়ে পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞতা জানান বিধায়ককে।
নরেন্দ্রনাথ বাবু জানান আমি জনপ্রতিনিধি। মানুষের আশীর্বাদে বিধায়ক হয়েছি। আমার কাজ মানুষের সেবা করা। যতদিন বিধায়ক থাকবো মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাবো।
বিধায়কের এই উদ্যোগে পরিবার দুটির পাশাপাশি খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।
তাদের বক্তব্য বিধায়ক ঘরের মানুষ, আপনজন, কাজের মাধ্যমেই তিনি আজ তা প্রমাণ করলেন ।