নির্বাচন কমিশনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না,এখন ‘মোদি কোড অফ কনডাক্ট’ হয়ে গেছেঃ মমতা
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৬ মেঃ
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে ডিপিএল কারখানা একটি রাজনৈতিক আলোচ্য বিষয় আর সেই ডিপিএল নিয়েই এবার আশার বাণী শুনিয়ে গেলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ডিপিএলকে বাঁচিয়ে রাখতে সাথে উন্নয়ণের স্বার্থে রাজ্য ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে বলে জানালেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। সোমবার দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ সংলগ্ন কল্পতরু ময়দানে দলীয় প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনের জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই ডিপিএল কারখানার প্রসঙ্গ তোলেন মমতা, বলেন ডিপিএল কারখানাটি বন্ধ করার পক্ষে নই আমি। এটি নিয়ে আমি অরূপের সাথে বৈঠকক করি। ইতিমধ্যেই ৪০০ কোটি টাকা এই কারখানায় বিনিয়োগ করা হয়েছে, আরো ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিন মমতা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা যেমন তুলে ধরেন তেমনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হন। বলেন আমরা কথা দিয়ে কথা রাখি। কথা দিয়েছিলাম তাই লক্ষ্মীর ভান্ডার করেছি, সবুজ সাথী, স্বাস্থ্য সাথী, বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছি। আর নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে সবার ব্যাংক একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবেন, বলেছিলেন বছরে ২ কোটি চাকরি দেব, দার্জিলিং জলপাইগুড়িতে বলেছিলেন বিজেপিকে ভোট দিলে এখানকার সব চা বাগান খুলে দেব। একটা কথাও কি উনি রেখেছেন ? রাখেননি। নরেন্দ্র মোদি হচ্ছেন চরম মিথ্যাবাদী, প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে মিথ্যা কথা বলে ভেবে দেখুন। প্রধানমন্ত্রীর নাম করে মমতা বলেন নরেন্দ্র মোদী হচ্ছে গ্যাস বেলুন এর চেয়েও বড় গ্যাস বেলুন। এদিন জনসভাতে মমতা রাজ্য সরকারের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন। বলেন অন্ডালে বিমানবন্দর করেছি, আগামী দিনে এই বন্দরটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। রানীগঞ্জ, জামুরিয়ার ধস প্রবন এলাকার ২৯ হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের কাজ চলছে। সাত কোটি টাকা খরচ করে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ড ও সৃজনী প্রেক্ষাগৃহের সংস্কার করা হয়েছে। বলেন এখানকার মাটির নিচে সেল গ্যাস পাওয়া গিয়েছে তাতে ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। পাশের জেলা বাঁকুড়ার বড়জোড়াতে অনেক ছোট শিল্প তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। বর্তমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ ও আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়াকে নিয়েও কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন দিলীপবাবু আগে মেদিনীপুরের সংসদ ছিলেন, এবার দল তাকে সেখানে টিকিট না দিয়ে দুর্গাপুর পাঠিয়ে দিয়েছে । নির্বাচনে হারার পর তিনি কোথায় যাবেন জিজ্ঞেস করে দেখুন ওনাকে । বলেন দার্জিলিং, দুর্গাপুর-বর্ধমান ঘুরে এবার আসানসোলে প্রার্থী হয়েছেন আলুওয়ালিয়া। গতবার তিনি টাকার প্যাকেট ছড়িয়ে সাংসদ হয়েছিলেন । এবার টাকার প্যাকেট দিতে এলে নিয়ে নেবেন কিন্তু ভোট দেবেন না। বলেন আমরা এবার ওনার উপর নজর রাখছি । টাকার প্যাকেট ছড়িয়ে এবার উনি আর জিততে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন এসবের কিছুই নজর করছে না। আসলে “মডেল কোড অফ কনডাক্ট” এখন “মোদি কোড অফ কনডাক্ট” এ পরিণত হয়েছে।