এডিডিএ এর উদ্যোগে কুনুর পাড়ে শ্মশানে বসছে বৈদ্যুতিক চুল্লি

আমার কথা, কাঁকসা, ২২ মার্চঃ
কুনুরের পাড়ে শ্মশানে নির্মাণ করা হবে বৈদ্যুতিক চুল্লি, আর এই চুল্লি নির্মাণ করা হলে মৃতদেহ সৎকার করার ক্ষেত্রে একদিকে যেমন সময় বাঁচবে তেমন পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও বর্তমানে দুর্গাপুরে বীরভানপুরে যে বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে তার চাপ অনেকটাই কমে যাবে। এই চিন্তা ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ নিলো আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ণ পর্ষদ। সেই কারণে কাঁকসার কুলডিহায় রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ওই এলাকার শ্মশানে তিনি বৈদ্যুতিক চুল্লি নির্মাণ করার উদ্যোগ নেবেন।সেই মত চুল্লি নির্মাণ করার কাজের সূচনা করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং এডিডিএর চেয়ারম্যান কবি দত্ত।
আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে কাঁকসার মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডিহায় শ্মশানে নির্মাণ হতে চলেছে বৈদ্যুতিক চুল্লি।যার ব্যয় হবে ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। দু’বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে দাবি সকলের। শনিবার কাজের সূচণার এই অনুষ্ঠানে পাশাপাশি আরো যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন দুর্গাপুর মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, এসবিএসটিসসির চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজেন্দ্র প্রসাদ মন্ডল, প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা, কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নব কুমার সামন্ত সহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল বৈদ্যুতিন চুল্লির নির্মানের। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে বৈদ্যুতিক চুল্লির নির্মাণ হতে চলেছে।এটি নির্মাণ হলে কাঁকসার মানুষের পাশাপাশি বীরভূম, বাঁকুড়ার মানুষেরও সুবিধা হবে।এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের জায়গা হবে।
“আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন,”আমরা চেষ্টা করেছিলাম বৈদ্যুতিক চুল্লি করার জন্য। তারই কাজ শুরু হলো। পরিবেশবান্ধব এই শ্মশানে দূষণ অনেকটাই কমবে।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখোপাধ্যায় বলেন,”করোনা পরিস্থিতির সময় চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল এলাকার মানুষদের। আমরা রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের কাছে বৈদ্যুতিক শ্মশানের দাবি করেছিলাম। আজ কাজের সূচনা হওয়ায় আমরা খুশি।”