মিশন হাসপাতালে মা ও শিশুদের জন্য চালু হল অত্যাধুনিক এমারজেন্সি বিভাগ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৩ জানুয়ারী:
উন্নততর চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের অত্যাধুনিক এমার্জেন্সি বা আপৎকালীন বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম। সেক্ষেত্রে সাধারণ রোগী বিশেষ করে শিশু ও সদ্যপ্রসবা মায়ের আপৎকালীন বা জরুরিকালীন পরিষেবার গুণগতমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল। ২০২৩ সাল থেকে হাসপাতালের এমারজেন্সি ইউনিটের আমূল সংস্কার বা উন্নততর করার ভাবনা বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগ নেয় মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিভিন্ন বেসরকারি সব হাসপাতাল, নার্সিংহোমের এমার্জেন্সি বিভাগের পরিকাঠামো ও পরিসেবা উন্নয়নে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে মিশন হাসপাতালে উন্নত ও অত্যাধুনিক মানের এমার্জেন্সি ইউনিট সহ জরুরী বা আপাতকালীন চিকিৎসার বিশেষ ব্যবস্থাদি বিষয়ে রবিবার সিটি সেন্টারের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে আলোকপাত করেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। স্বামী বিবেকানন্দর ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী তথা জাতীয় যুব দিবসে আয়োজিত এই সেমিনারে জরুরী কালীন চিকিৎসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিএমসি ভেলোরের পেডি পেডিয়াট্রিক এমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান ডাঃ দেবাশীষ দাস অধিকারী, গ্লোবাল এমার্জেন্সি মেডিসিন প্রোগ্রামের ডিরেক্টর তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জুকের স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক ডাঃ জন আর অ্যাসেররা। একইসঙ্গে শিশু ও সদ্যপ্রসবা মায়েদের ফলদায়ী ও জরুরীকালীন চিকিৎসা পরিসেবার বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন তারা। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে হাসপাতালের অত্যাধুনিক এমার্জেন্সি ইউনিটের বিষয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের কথায়, শিশু ও সদ্যপ্রসবা মায়েদের বিশেষ যত্ন ও চিকিৎসা পরিসেবার স্বার্থে আলাদা এমার্জেন্সি ইউনিট করা হয়েছে। সেখানে সদ্যোজাত শিশু থেকে শুরু করে মায়েদের জন্য আলাদা বেড রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিশু সহ মায়েদের শরীর, স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ বলে জানান মিশন হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান ডাঃ তীর্থ মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে শহর শিল্পাঞ্চলের পাশাপাশি দূর দূরান্তের গ্রামীণ এলাকার মানুষজনের সহজ ও সুলভ চিকিৎসার সব রকমের ব্যবস্থাদি মজুত রাখা রয়েছে বলে জানান দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডাঃ পার্থ পাল। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ২০০৮ সাল থেকে উন্নততর চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে মিশন হাসপাতালের ভূমিকার প্রশংসা করেন মার্কিনী চিকিৎসক তথা অধ্যাপক জন.আর. অ্যাসেররা।