ময়দানে বন্ধ মুখ দেখাদেখি, পাত পেড়ে খাওয়া একসাথেই, রাজনীতি না ব্যাক্তি, জয় কার?
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৪ এপ্রিলঃ
“রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, কিন্তু তার আগে ব্যাক্তিগত সম্পর্ক। এর মধ্যে কোনো রাজনীতি খোঁজার দরকার নেই”- বিজেপি নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজন করার পর এই ছিল তৃণমুলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অভিব্যাক্তি।
১৩ মে চতুর্থ দফার ভোট হতে চলেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। দিন রাত এক করে প্রচন্দ গরমে প্রখর রোদ মাথায় করে প্রার্থীদের জেতাতে মরিয়া দলের সভাপতি নরেন চক্রবর্তী দৌড়ে বেড়াচ্ছে জেলার এ মাথা থেকে ও মাথা। দিন খুব বেশি বাকি নেই। দিন কমছে ভোটের পারদ চড়ছে। শাসক বিরোধীরা যখন নিজেদের মধ্যে নানা বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন থেকে থেকেই তখন বুধবার দুপুরে সৌজন্যতার রাজনীতি দেখা গেল পান্ডবেশ্বর বিধানসভার জেমুয়া গ্রামে। বিজেপি নেতা ধর্মদাস গোপের আমন্ত্রণে ধর্মদাসবাবুর স্ত্রীর আতিথেয়তায় তাঁর বাড়িতে দুপুরে পাত পেড়ে মধ্যাহ্ন ভোজন সাড়লেন তৃণমুলের জেলা সভাপতি। যদিও ধর্মদাস গোপ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে এদিনের এই ঘটনার মধ্যে রাজনীতি শব্দটিই আনতে নারাজ নরেনবাবু। খাওয়া শেষে ধর্মদাসবাবুর স্ত্রীর হাতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কবিতা ছাপা একটি শাড়ি উপহার স্বরূপ তুলে দেন।
ধর্মদাস বাবু জানান, নরেনবাবু এলাকার বিধায়ক, সবার বিধায়ক আর তাই তিনি আমারও বিধায়ক। রাজনৈতিক দল আর রাজনৈতিক মতাদর্শের অমিল থাকতেই পারে। কেউ খেতে চাইলে তো না করা যায় না। প্রধানমন্ত্রী খেতে চাইলে যেমন না করা যায় না, তেমন বিধায়ক খেতে চাইলেও তাকে না করা যায় না। তবে উনি আমার বাড়িতে খাওয়াতে আমি খুব খুশি।
অপরদিকে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ধর্মদাস বর্তমানে বিজেপি করলেও আগে তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। তাই ওনার সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। দুজনে আলাদা দল করলেও ব্যাক্তিগত সম্পর্ক এখনো রয়েছে। আজকের এই মধ্যাহ্ন ভোজনের সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
অন্যদিকে, দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “তৃণমূলের কর্মীরা কেউ ডাকছে না ওনাকে। আর তাই যেচে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে খাওয়ার চেষ্টা করছেন নরেনবাবু। সে তিনি খেতেই পারেন। তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু শাড়ি উপহার দিয়ে নরেনবাবু নির্বাচনী বিধিভঙ করেছেন। এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবো।