দুর্গাপুর ব্যারেজে পৌঁছোলেও শহরবাসীর ঘরে এখনও পৌঁছোল না জল, আজও কি নিরাশ হতে হবে?
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৬নভেম্বরঃ
একটু একটু করে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে আর ক্রমশ ধৈর্য্যহারা হছে শহর দুর্গাপুরের বাসিন্দারা। সঞ্চিত জল কবেই শেষ আর হবে নাই বা কেন, ইতিমধ্যে ছয় দিন অতিক্রান্ত, ফলে ভরসা যদি দুর্গাপুর নগর নিগম কিংবা জেলা প্রশাসনের থেকে পাঠানো গাড়ি বা পাউচের জল। আর সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের পকেট থেকে দিয়ে জল কেনা। শহরের চিত্রটা যখন এরকম তখনও সেভাবে কোনো নিশ্চিত আশ্বাসবানী শোনাতে পারছেন না সেচ দপ্তরের কর্মকর্তারাই হোক কিংবা দুর্গাপুর নগর নিগম, কিংবা জেলা প্রশাসন। দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১নং লকগেট মেরামতের কাজ গতকাল বিকেলেই শেষ হয়ে গেছে। মাইথন থেকে জল ছেড়েও দেওয়া হয়েছে গতকাল সকাল ১০টায়। ইতিমধ্যে জল এসে পৌঁছে গেছে দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধারে। কিন্তু যতটা জল জমলে ফ্লোটিং গেট ১৪নং গেট থেকে ভাসিয়ে ৩১নং গেটে এনে বাকি কাজ সম্পন্ন করতে হবে সেই লেভেল পর্যন্ত্য এখনও জল না জমায় দুর্গাপুর নগর নিগম তাদের কাজ শুরু করতে পারছে না বলে দুর্গাপুর পুরসভা সুত্রে জানা গেছে।
দুর্গাপুর নগর নিগমের জল দপ্তরের মেয়র পারিষদ পবিত্র চট্টোপাধ্যায় জানান, দুর্গাপুর ব্যারেজে ২১১ আর এল লেভেল পর্যন্ত্য জল জমলে তবেই ক্যানেলে জল ধুকবে আর যতক্ষণ না পর্যন্ত্য ক্যানেলে জল ঢুকছে ততক্ষণ আমরা আমদের কাজ শুরু করতে পারব না। বেলা ১২টা পর্যন্ত্য ২০৫ আর এল জল জমেছে। বাকি জল জমতে আনুমানিক আরো ৫-৬ঘন্টা সময় লেগে যাবে। এরপর ক্যানেলে জল ধুকলে বাকি কাজ করে জল সরবরাহ করতে ৭-৮ ঘন্টা সময় লেগে যাবে। ফলে যেরকম ভাবে চলছে শহরবাসীর জল পেতে পেতে কাল ভোর বা সকাল হয়ে যাতে পারে।