প্রশাসনিক অভিযানের পরেও দুর্গাপুরে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ হুক্কাবার
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৫ নভেম্বরঃ
প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছে অবৈধ হুক্কা বার। সকাল থেকেই দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারের এই সমস্ত হুক্কাবারগুলিতে উঁকি দিলেই দেখা যাচ্ছে ধোঁয়ায় ধোয়াচ্ছন্ন। আলো আধাঁরীতে এক মায়াবি পরিবেশ তৈরী হয়েছে যা যুব সমাজের কাছে বেশ আকর্ষনীয়। অথচ দুর্গাপুর নগর নিগম থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই শহরে হুক্কাবার চালানোর জন্য কোনো রকম অনুমতি দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ পুরসভার পক্ষ থেকে পরিষ্কার এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে যে, হুক্কাবার চালানোর জন্য কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। এখন প্রশ্ন উঠছে বিনা ট্রেড লাইসেন্সে কি করে শহরের বুকে এভাবে হুক্কাবারগুলি চলছে?
প্রসঙ্গতঃ ৩০ অক্টোবর দুর্গাপুর নগর নিগমের পক্ষ থেকে মেয়র পারিষদ অমিতাভ বন্দোপাধ্যায় বেঙ্গল অম্বুজা ও সিটিসেন্টারের জাংশন মলে কয়েকটি হুক্কাবারে অভিযান চালান। সেই অভিযানে ধরা পড়ে এই সমস্ত হুক্কাবারগুলি বিনা লাইসেন্সে ব্যবসা করছে। শুধু তাই নয়, মেয়র পারিষদ জানিয়ে ছিলেন, কয়েকটি হুক্কাবারে আবার রমরমিয়ে চলছে মদের আসরও। এরপরেই দুর্গাপুর নগর নিগমের তরফে এই সমস্ত হুক্কাবারগুলিকে অবৈধ ঘোষণা করে বন্ধ রাখার নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু দিন কয়েক বন্ধ থাকার পর ফের এই সমস্ত হুক্কাবারগুলি পুনরায় তাদের ব্যবসা চালু করে।
দুর্গাপুর নগর নিগমের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি বলেন, আমাদের নগর নিগমের ট্রেড লাইসেন্সের যে তালিকা আছে সেই তালিকার হুক্কাবারের কোনো উল্লেখ নেই। এই বিষয়ে আমি পুলিশ প্রশাসনকে লিখিত আকারে জানিয়েছি যে শহরের বুকে অবৈধভাবে হুক্কাবারগুলি চলছে। এরপর সেই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ৩০ অক্টোবর যেদিন দুর্গাপুর নগর নিগম থেকে এই হুক্কাবারগুলিতে অভিযান চালানো হয় সেদিন সেই অভিযানের বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। আর মহানাগরিকের তরফ থেকেও আমাদের কাছে কোনো নির্দেশ আসেনি। অবৈধভাবে শহরের বুকে কোনো হুক্কাবার চালানো আইনত অপরাধ। মহানাগরিক আমাদের বললেই আমরা এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেবো।”