বৈদ্যনাথপুরে স্পর্শকাতর বুথে উলটপুরান, কি চলছে ওই ভোট কেন্দ্রে?
আমার কথা, লাউদোহা, ১৩ মেঃ
যে বুথটি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা আছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রতিবারেই যে বুথটিকে ঘিরে অশান্তির বাতাবরন তোইরী হয়, সেই বুথেই এবার বিপরীত চিত্র দেখা গেল। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভুমিকা নিয়ে প্রশংসা করতেও শোনা গেল শাসক দলের মুখে। বুথটি হল পান্ডবেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৩৯ নং বুথ বৈদ্যনাথপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়।
চলছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের উৎসব ৷ ১৩ মে সেই উৎসবের চতুর্থ দফার অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে দেশের ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্র ৷ তার মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যের আটটি কেন্দ্র-বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান–দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর এবং বীরভূম। সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশী টহলদারিতে চলছে ভোট গ্রহন। আসানসোল কেন্দ্রের ৩৯ নং বুথটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে শাসক বিরোধী সকলেই। স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত এই বুথটিতে কড়া নিরাপত্তার ঘেরা টোপে চলছে ভোট গ্রহন।
প্রসঙ্গতঃ বাম আমলে পান্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকাটি বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি ওই বুথ পরিদর্শণে এলে তাঁকে সিপিএমের পক্ষ থেকে হেনস্থা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর ২০১৪ সালে ফের লোকসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হন বাবুল সুপ্রিয়ো। তিনিও নির্বাচনের দিন ওই ৩৯ নং বুথ পরিদর্শণে যান তিনি। এবার তৃণমূলের হাতে হেনস্থা হতে হয় তাঁকে বলে অভিযোগ উঠেছিল। বারংবার এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। এবারের লোকসভা নির্বাচনে সেই সমালোচিত বুথেই উলটপুরান দেখা গেল। ভোট হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে। এমনকি যেখানে কেন্দ্রীয়বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব, অতি সক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ ওঠে, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করছে শাসকদল।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা যমুনা ধীবর বলেন, “এই বুথ সহ গোটা বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এখনো পর্যন্ত্য কোনো ঝামেলা নেই। বুথগুলিতে বিরোধীরাও নিজেদের এজেন্ট দিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে বেশ নিরপেক্ষ ভাবেই নিজেদের কর্তব্য করছেন।”