কাঁকসায় বায়ুসেনার বিজ্ঞপ্তি ঘিরে করোনা আতঙ্ক কাটাতে স্বাস্থ্যপরীক্ষা সহ ব্যাপক স্যানিটাইজেশন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৪মেঃ
পানাগড় বায়ুসেনার একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে করোনা আতঙ্ক ছড়ায় কাঁকসার মনোজপল্লী এলাকায়। ওই এলাকার একটি বাড়িতে এক বায়ুসেনা কর্মী ভাড়া থাকতেন, যিনি কিনা করোনায় আক্রান্ত বলে এলাকাবাসীরা দাবি করছেন। তা নিয়ে গতকাল অর্থাৎ বুধবার স্থানীয় প্রশাসনেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয়রা। এরপর আজ বৃহস্পতিবার ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনোজপল্লী এলাকার বিশেষ কিছু জায়গা সহ যে বাড়িতে ওই বায়ুসেনা কর্মী ভাড়া থাকতেন সেই সমস্ত জায়গায় জীবানুনাশক স্প্রে করা হয়।
প্রসঙ্গতঃ মনোজপল্লী এলাকায় প্রফুল্ল সরকার নামে এক ব্যাক্তির বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের বাসিন্দা এক বায়ুসেনা কর্মী ভাড়া থাকতেন। গত ৯মে তিনি সর্দি কাশি নিয়ে প্রফুল্লবাবুর বাড়িতে ফেরেন। পরেরদিন ভোরে তিনি ডিউটি বেরিয়ে আর ফেরেননি। এরপর গতকাল পানাগড় বায়ুসেনা বিভাগ থেকে এসে প্রফুল্লবাবুর বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনের একটি বিজ্ঞপ্তি লাগিয়ে দিয়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কোনো খবর নেই বলেই জানা গেছে। তারপর থেকেই এলাকায় করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা একদিকে যেমন কা৬কসা ব্লক আধিকারিকের শরনাপন্ন হয়ে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আবেদন জানান, তেমনই অপরদিকে আতঙ্কের থেকে নিজেরাই এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড করে দেন। এরপরেই আজ ওই এলাকায় জীবানুনাশক স্প্রে করা হয় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সাথে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীর একটি দল প্রফুল্লবাবুর বাড়িতে অপর যে বায়ুসেনা কর্মী ভাড়া থাকেন তাঁকে সহ আরো কয়েকজনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে মোট আট জনকে কাঁকসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়।
তবে এই ঘটনায় বারবার উঠছে প্রশ্ন যে, স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে কি করে বায়ুসেনার পক্ষ থেকে এভাবে একটি বিজ্ঞপ্তি লাগিয়ে দিয়ে যেতে পারে? যদিও এখনও পর্যন্ত্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি পানাগড়ের বায়ুসেনা বিভাগের কেউই।