আইসিডিএস কর্মী ভুয়ো জব কার্ড হোল্ডারের ভূমিকায়, অভিযোগ বিজেপির
আমার কথা, অন্ডাল, ৩ অক্টোবর:
আইসিডিএস এক কর্মীকে ভুয়ো জব কার্ড হোল্ডার বানিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল, অভিযোগ বিজেপির। সমাজ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
কেন্দ্র আটকে রেখেছে ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বাংলার প্রাপ্য টাকা। টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানাতে সোম ও মঙ্গলবার দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন পশ্চিমবাংলার তৃণমূলের সংসদ, বিধায়ক, দলীয় কর্মীরা। দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে পশ্চিমবাংলার কয়েক হাজার জব কার্ড হোল্ডারকে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ বাংলায় এই দুটি প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে টাকা আটকে রয়েছে। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রীর অভিযোগ বাংলায় প্রায় ১৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড রয়েছে। কেন্দ্রের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। এই আবহে মঙ্গলবার দুপুরে সমাজ মাধ্যমে তৃণমূলের দিল্লি কর্মসূচির একটি ছবি ও পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সেই পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে চাপানোত্তর। ছবিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে জব কার্ড হাতে নিয়ে রয়েছেন এক মহিলা। তিনি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে নিজেকে জব কার্ড হোল্ডার বলে দাবি করেন। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে লেখা রয়েছে ওই মহিলা ভুয়ো জব কার্ড হোল্ডার।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি জব কার্ড হাতে ভাইরাল হওয়া মহিলার নাম পিয়ালী ভট্টাচার্য। অন্ডালের মদনপুরের বাসিন্দা। ওই মহিলা এলাকার একটি আইসিডিএস সেন্টারের কর্মী। আইসিডিএস কর্মী জব কার্ড হোল্ডার হয় কি করে? এই প্রশ্নে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। খোঁজ নিয়ে জানা যায় আইসিডিএস কর্মী পিয়ালী ভট্টাচার্য তৃণমূলের বঙ্গ জননী সংগঠনের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। বর্তমানে “খ্যাম” নামে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পিয়ালী ভট্টাচার্যের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরাই তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে পিয়ালী দেবীর স্বামী প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমের একাংশের কাছে জানান তিনি নিজে জব কার্ড হোল্ডার। তার নামে জব কার্ড রয়েছে। সেই কার্ডে স্ত্রী পিয়ালী দেবীর ও নাম আছে বলে দাবি করেন প্রসেনজিৎ বাবু । আইসিডিএস কর্মী হলে তার কি জব কার্ড হতে পারে না? পাল্টা প্রশ্ন করেন প্রসেনজিৎ বাবু।
বিজেপির স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ তৃণমূল এরকম অনেক কে ভুয়ো জব কার্ড হোল্ডার বানিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে। দুর্নীতি ঢাকতে তৃণমূল নাটক করছে বলে অভিযোগ তাদের। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।