“মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হচ্ছে”-দাবি রাজু ঝা-য়ের, তোলা হল দুর্গাপুর আদালতে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৯মার্চঃ
পুরোনো কয়েকটি মামলার কারনে শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হল রাজেশ ঝা ওরফে রাজু ঝা-কে। তাঁর বিরদ্ধে দ্য কোল মাইনস অ্যাক্ট ১৯৭৩ অনুসারে চুরি, চোরাই মাল নিজের হেফাজতে রাখা, চোরাই মাল লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করার মতো অভিযোগ রয়েছে রাজু ঝায়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার অন্ডাল থানার পুলিশ বাঁকুড়া উপ সংশোধনাগার থেকে রাজু ঝাঁকে পেশ করা । দুর্গাপুর আদালতে। তার বিরুদ্ধে অন্ডাল থানা এলাকায় কয়লা চুরির অভিযোগ এনেই তোলা হয় আদালতে। বাঁকুড়া, দুর্গাপুর ও আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে বেশ কয়েকটি থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক কয়লা পাচার,জাল নোট, মাদক ও অস্ত্র কারবারের মামলা রয়েছে। যা এখনও আদালতের বিচারাধীন। যদিও এদিন দুর্গাপুর আদালতে পেশ হওয়ার সময় রাজু ঝাঁ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানান, ” আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি বলে আমায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হচ্ছে। এভাবে বিজেপিকে রাজ্যে ক্ষমতায় আসা থেকে আটকানো যাবে না।” এদিন আদালত ধৃতের সাত দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সিআইডি রাজু ঝাঁকে জেরা করে বেআইনি কয়লা পাচারে তার বিরুদ্ধে হওয়া একাধিক অভিযোগের তদন্ত চালাবে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ গত ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুরের পলাশডিহার মাঠে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও আসানসোল জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন রাজু ঝা, যিনি কয়লা মাফিয়া বলেই মূলতঃ প[অরিচিত। যদিও সেদিনের সভামঞ্চে তাঁকে পরিচয় করানো হয় একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসেবে। বাঁকুড়ার মেজিয়া থানায় দায়ের হওয়া বেআইনি কয়লা কারবারের ষোলো বছরের পুরোনো মামলায় বাঁকুড়া আদালতে নিজের জায়গায় অন্য একজনকে পাঠিয়েছিলেন রাজু ঝা বলে অভিযোগ। যদিও বিচারক বিষয়টি আদালতে ধরে ফেলেন। এরপর বিচারক রাজুর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। সেই মামলায় চলতি মাসের ১৫ তারিখে বাঁকুড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক সেই জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে উল্টে তাঁকে ১৫ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।