দারিদ্রতার সাথে লড়ে রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দুর্গাপুরের টুম্পার জোড়া পদক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৯মেঃ
রূঢ় বাস্তব বলে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসারে স্বপ্ন দেখা অন্যায়, কিন্তু এটাও তো ঠিক পাঁকেই পদ্ম ফোটে। হ্যাঁ সেরকমই নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সংসারে পাঁকের পদ্ম টুম্পা মাহাতো। রাজ্যস্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সোনা ও রূপো দুরকমের পদক জিতে দুর্গাপুরবাসীদের মুখ উজ্জ্বল করলো লেবারহাটের বাসিন্দা টুম্পা।
চার বোনের সংসারে বাবা পরিবহন শ্রমিক আর মা সেলাই ফোঁড়াইয়ের কাজ করে কোনো মতে সংসার চালান। কোনোদিন কাজ পান আবার কোনোদিন কাজ পান না। তার মধ্যে ভরা লকডাউনে কাজ তো প্রায় ছিলই না বলতে গেলে। এমতবস্থায় পেটে দানাপানি সেভাবে না পরলেও মনের জোর হারায়নি টুম্পা। টালির চালের বাড়িতে থেকেও স্বপ্ন বড় উড়ান ভরার। এতটা দরিদ্রতার মধ্যেও টুম্পা কলকাতার হেস্টিংস কলেজে বিপিএড নিয়ে পরাশুনা করছে। কলেজের সব সেমিস্টারে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে টুম্পা। ছোট থেকেই খেলার প্রতি ঝোঁক ছিল টুম্পার। সম্প্রতি কলকাতার যুব ভারতী সাঁই কমপ্লেক্সে আয়োজিত রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২০০ মিটারে সোনা ও ১০০ মিটারে রূপো জিতে নেয়। বেঙ্গল অলিম্পিকেও সফলতা কায়েম রেখেছে টুম্পা। ভবিষ্যতে গেম টিচার হতে চায় টুম্পা। কিন্তু এসব কিছুর পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। টানাটানির এই সংসারে মেয়ের স্বপ্ন কিভাবে পূরণ হবে তা নিয়েই এখন চিন্তিত টুম্পার পরিবার। তবে এই প্রতিকূলতার মধ্যেও টুম্পা যে দমে যায়নি তাতে বেজায় গর্বিত দুর্গাপুরের ক্রীড়া মহল।