দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হল কংগ্রেসের প্রথম “পঞ্চায়েত সম্মেলন”
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৯ এপ্রিলঃ
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের ঘন্টা না বাজলেও নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যে ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক বিরোধী সব দলই। নিজেদের মতো করে কর্মসূচী নিচ্ছেন নেতৃবৃন্দরা। নিচুতলার কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে সাথে ভোটারদের মন পেতে আজ এক কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। দুর্গাপুরের বিধানভবনে এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের পঞ্চায়েত কমিটির চেয়ারম্যান নেপাল মাহাতো, কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি, জেলার পর্যবেক্ষক অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য সহ আরো অনেকে।
জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী জানান, ১৯৯৪ সালে আসানসোলে বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কংগ্রসের একটি সম্মেলন হয়েছিল। তারপরে দীর্ঘ সময় কেটে গেছে, কিন্তু আর কোনো বড় সম্মেলন হয়নি। কিন্তু জেলায় পঞ্চায়েত সম্মেলন এই প্রথম আমরা দুর্গাপুরে করলাম। শাসকদল বা তৃনমূলের কোনো খারাপ ভাল নিয়ে বিশ্লেষণ নয়, আমাদের আজকের এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল আগামীদিনে পঞ্চায়েত এলাকায় সাধারন মানুষের উন্নয়ণের স্বার্থে কি কি কাজ করা হবে তা নিয়েই আলোচনা। যার মধ্যে মূলতঃ ছিল গ্রামের চাষীরা ধান চাষ করে তারপর সেই ধান রাখার জায়গা পায় না। তাই ধান রাখার জন্য গোডাউন, হিমঘর ইত্যাদি তৈরী করতে হবে। তারপর সেই ধান বাজারজাত করতে হবে, সাথে তাঁরা যাতে সহায়ক মূল্যে ধানের দাম পান সেই দিকে লক্ষ্য রাখা। পাশাপাশি গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়ণ, সর্বত্র বিদ্যুৎ পৌঁছোনো, পানীয় জল সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হল এই সম্মেলনে। এদিন দেবেশবাবু আরো জানান, আগামী নির্বাচনে প্রতিটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে কংগ্রেস।