চারদিন পরেও খোঁজ নেই নিখোঁজ যমজ বোনের, উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারে
আমার কথা, পান্ডবেশ্বর, ৪ ডিসেম্বর:
রবিবার খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় পাণ্ডবেশ্বর থানার কুমারডিহি গ্রামের বছর দশেক বয়সের যমজ দুই বোন স্নেহা ও স্নিগ্ধা বাউড়ি। স্থানীয় উদয়ন সংঘ মাঠে শেষবার এই দুই বোনকে দেখা গিয়েছিল রবিবার সকালে। তারপর থেকেই তারা নিখোঁজ হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নামে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। কিন্তু চারদিন পরেও যমজ বোনদের সন্ধান না পাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারে। যেখানে শেষবার নিখোঁজ দুই বোনকে দেখা গিয়েছিল পরের দিন সোমবার ওই উদয়ন সংঘ মাঠ থেকে উদ্ধার হয় উজ্জ্বল বাউরী নামে এক প্রতিবেশী যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ। দুই বোনের নিখোঁজ আর উজ্জ্বলের অস্বাভাবিক মৃত্যু, এই দুটি ঘটনায় কোন যোগসূত্র থাকতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা হয়। সোমবার উজ্জ্বলের মৃতদেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য আসে থানার আধিকারিক সহ শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। ঘটনাস্থলের আশপাশে সূত্রের খোঁজে তল্লাশি চালান তারা। রহস্য উদঘাটনে আনা হয় প্রশিক্ষিত পুলিশ কুকুরও। এদিন বুধবারও ঘটনাস্থল নিরিক্ষণ করতে পুলিশ আধিকারিকারা আসেন। তবে এখনো খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ স্নেহা, স্নিগ্ধার।
দুই শিশু কন্যার মামা অভিজিৎ বাউরী জানান দিদি কবিতা বাউরীর বিয়ে হয়েছিল কাজোড়া গ্রামে বাপি বাউড়ির সাথে। পরে দিদি বারাবনি থানা এলাকায় অন্য একজনকে সাথে বিয়ে করে নতুন সংসার পাতেন। তখন থেকে দুই ভাগ্নি কুমারডিহিতে তাদের কাছেই থাকতো বলে জানান অভিজিৎ বাবু। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ মা কবিতা বাউরী ও বাবা বাপি বাউরী কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও শিশু কন্যা দুটির নিখোঁজ সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি(অন্ডাল) পিন্টু সাহা বলেন তদন্ত চলছে, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তবে তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য হাতে এসেছে কিনা জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন এখনই এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।