নীল বাতির গাড়িতে চাপা দুর্গাপুরে ভুয়ো সরকারী আধিকারিকের পর্দা ফাঁস, অভিযুক্ত পলাতক

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৮ জুলাইঃ
দেবাঞ্জন এর মতো নীল বাতির গাড়ি, সরকারি লোগো ব্যবহার করে যুবক যুবতীদের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করার জন্য বিদ্যুৎ পোদ্দার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল দূর্গাপুর থানায়।
দেবাঞ্জনের পর জেলায় জেলায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে বিভিন্ন ভুয়ো আধিকারিক বিভিন্ন প্রতারক। সম্প্রতি দুর্গাপুরেও এমনই এক প্রতারক এর নামে অভিযোগ দায়ের হলো দূর্গাপুর থানায় আর তার সন্ধানে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, নীল বাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে সরকারি লোগো ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক ও নেতাদের সঙ্গে নিজের ছবি এই সব দেখিয়ে প্রতারণার জাল বিছিয়ে দুর্গাপুর সহ উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন বেকার যুবক যুবতীকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে বিদ্যুৎ পোদ্দার নামে এক ব্যক্তি। সম্প্রতি তাঁর নামে দূর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে দুর্গাপুরের এক বাসিন্দা স্বপ্না চাঁই। স্বপ্না এবং তার পরিচিত অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছে। উত্তরবঙ্গের অনেক বেকার যুবক যুবতীদেরও কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানালেন দুর্গাপুরে একসময় বিদ্যুৎ পোদ্দার এর দুর্গাপুরের অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট পংকজ পাঠক। তিনি নিজেও প্রতারণার শিকার হয়েছেন বিদ্যুৎ পোদ্দারের কাছে। দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট এলাকায় একটি অফিস বানিয়ে প্রতারণার ছক সাজিয়েছিল বিদ্যুৎ পোদ্দার। দুর্গাপুর এর সেপকো এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতো সে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে বেকার যুবক যুবতীদের প্রতারণা করত। বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক তার ফাঁদে পা দিয়ে পরে বুঝতে পেরে সরে এসেছেন। এই বিদ্যুৎ পোদ্দারের আসল বাড়ি কোথায় কেউ জানেনা। কেউ বলে মালদাতে কেউ বলে কলকাতার কসবায়। কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের একসময়ের দায়িত্বে থাকা এই বিদ্যুৎ পোদ্দারকে পরে বহিষ্কার করা হয় এমনটাই জানা গেছে। দুর্গাপুরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হবার পর তারপর থেকেই তার মোবাইল সুইচড অফ। কোনভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। দুর্গাপুরের পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আর যেন কেউ প্রতারণার শিকার না হয় তার জন্য পুলিশ যাতে তাকে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করে এমনটাই দাবি জানিয়েছে দুর্গাপুরের প্রতারিত সকলেই।