বৃষ্টির আকুতিতে দুর্গাপুরে ব্যাঙের বিয়ে, কুসংস্কারকে উৎসাহ দেওয়া?
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৮জুনঃ
প্রবল দাবদাহ, বৃষ্টি নেই, তাই বরুনদেবের আরাধনা, মহাদেবকে সাক্ষী রেখে ব্যাঙের বিয়ে। ঢাক, কাঁসর, উলুধ্বনি, পাত পেরে দু’শ মানুষ চেটে পুটে খেলো ভাত, ডাল, তরকারি, মাংস, দই, মিষ্টি, চাটনি, পাঁপড়। ব্যাঙের আবার বর পক্ষ, কনে পক্ষ। আয়োজন দেখে এলাকার মানুষদের চক্ষু চড়ক গাছ । দুর্গাপুরের অন্যতম প্রাচীন শিব মন্দিরে এই অভিনব ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করে ছিলেন ৯নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন স্থানীয় কাউন্সিলর পল্লব রঞ্জন নাগ । মন্দিরের জলাশয়েই বিয়ের শেষে পুরোহিত ভাসিয়ে দিলেন বাঙমা ব্যাঙ্গমীকে।দুপুর পর্যন্ত চলল খাওয়া দাওয়া। উপস্তিত সকলেই জানালেন যে সকলের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই, তাই বৃষ্টির খুব প্রয়োজন। এবার বৃষ্টি নামবে অঝোরে এই বিশ্বাস নিয়েই ৯ নং ওয়ার্ড নাগরিক কমিটির এই ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন। যদিও শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের একাংশ বাসিন্দা এই ঘটনার চরম নিন্দা করেন। তাঁরা বলেন চাঁদে মানুষ পা রেখেছে তা এক প্রকার ইতিহাস। মঙ্গল জয় করেছে মানুষ। সেখানে ব্যাঙ্গের বিয়ে দিয়ে বৃষ্টির প্রার্থণা এটি কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। শুধু তাই নয় তাঁরা এও বলেন ভারতবর্ষেরর মতো গরীব দেশে যেখানে মানুষ কখনো অভুক্ত আবার কখনো অর্ধভুক্ত হয়ে দিন কাটায়, সেখানে ব্যাঙের বিয়ের নামে এত টাকা খরচ করে মোচ্ছব করা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। সব শেষে তাঁরা বলেন পল্লব রঞ্জন নাগ একজন প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি। তার জানা উচিত মনুষ্যজাতির একাংশের অজ্ঞতার জেরে দিন দিন পৃথিবীতে বাড়ছে উষ্ণায়নের মাত্রা। যার জেরেই এই অনাবৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। বাড়ছে অত্যধিক গরম। তাই তাঁর উচিত ব্যাঙের বিয়ের মতো কুসংস্কারকে উৎসাহ না দিয়ে বরং কি করলে এই উষ্ণায়নকে কমানো যায় তা নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচী নেওয়া।