স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে পানাগড়ে রেলে কাটা পরে মৃত্যু দুই সন্তানের অসহায় মায়ের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পানাগড়), ২৫জুলাইঃ
স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে চাইলেও প্রাণ কেড়ে নিলো ট্রেনের চাকা। রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু হল দুই সন্তানের এক মায়ের। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে পানাগড় রেল স্টেশনে। মৃতার নাম মিঠু পাত্র(৩৬)।
এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার সিং জানান ওই মহিলার বাড়ি দুর্গাপুরের মেন গেট এলাকায়। কাঁকসার দেবশালায় ওই মহিলার বাবার বাড়ি। অভিযোগ ওই মহিলার একটি দুই বছরের ও একটি এক বছরের সন্তান রয়েছে। মহিলার স্বামী রবি পাত্র দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই ওই মহিলাকে মারধর করত। মাস কয়েক আগে একবার স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে পানাগড় স্তেসনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই সময় এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে স্বামীর কাছে পৌঁছে দেন। কিন্তু ফের স্বামী মারধর করলে অসুস্থ হয়ে ওই মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর হাসপাতাল থেকে দুই সন্তান সহ ওই মহিলাকে ফের পানাগড় স্টেশনে এনে ছেড়ে দিয়ে যায়। তারপর থেকে ওই মহিলা সন্তানদের নিয়ে স্টেশনেই থাকতে শুরু করেন। রাজকুমাওবাবু আরো জানান যে যখনই স্টেশনে পুলিশের যাতায়াত হয় ওই মহিলা ভয়ে লুকিয়ে পড়েন। আজ যখন সন্ধ্যে আনুমানিক ৬টা ৩০ নাগাদ ওই মহিলা তাঁর সন্তানদের জন্য খাবার নয়ে আসছিলেন সেই সময় ফের পুলিশ দেখে লুকোতে গিয়ে আচমকাই ১নং প্ল্যাট ফর্ম থেকে রেললাইনের উপর পড়ে যান আর সেই সময় একটি ট্রেন তাঁর উপর দিয়ে চলে গেলে ট্রেনে কাটা পরে মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় মাতৃহারা ওই দুটি শিশুর জন্য যখন এলাকাবাসীদের মন ভারাক্রান্ত তখন অপর দিকে মিঠুদেবীর স্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন সকলে। দ্বিতীয় বিয়ের কারনে প্রথম স্ত্রীর উপর এহেন অত্যাচার। তাই মিটুদেবীর স্বামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক পুলিশ এই আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা।