পশ্চিম বর্ধমানে ‘করোনা’ মোকাবিলায় এখনও পর্যন্ত্য কতটা প্রস্তুত জেলা প্রশাসন? দেখে নিন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৩০মার্চঃ
সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক গ্রাস বসেছে মানুষজনকে। সারা বিশ্বের সাথে সাথে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যেও এই ভাইরাসের থাবা থেকে বাস পড়েনি সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে অনেক চিকিৎসক। দিন দিন এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে সারা পৃথিবী জুড়ে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। মানুষজন কার্যত গৃহবন্দী হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আর এর মূল কারন হল সাধারন মানুষ যদি ঘরের বাইরে সেভাবে না বের হয় তাহলে করোনা ভাইরাসে সেভাবে কেউ আর নতুন সংক্রমিত হবেন না। সারা ভারতে যেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সেখানে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখনও পর্যন্ত্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের কোনো খবর নেই।
সরকারী সুত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী ২৯/০৩/২০২০ পর্যন্ত্য এই জেলায়
১) বিদেশ থেকে এই দেশে ফিরেছেন এরকম ২৭৫ জন মানুষকে স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
২) এই দেশেরই ভিন রাজ্য থেকে এই এই জেলায় আসা এরকম ১৭৬৭ জন মানুষকেও স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
৩) ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১০,০০০ কোয়ারেন্টাইন বেড প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
৪)এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পৌরসভা ও ব্লক এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যে স্যানেটাইজার স্প্রে করার কাজ শুরু হয়েছে। লকডাউনে দুঃস্থ, অসহায়, বয়স্ক একাকী মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সংবাদমাধ্যম সহ বহু সাধারন মানুষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই জেলার সাধারন নাগরিকদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যে, এই জেলাকে করোনামুক্ত করতে তাদের যদি জানা এমন কোনো এক বা একাধিক ব্যাক্তির সন্ধান পান যাদের বিদেশ ভ্রমনের ইতিহাস রয়েছে তা অতি সত্বর যেন প্রশাসনকে জানান।