দুর্গাপুরে সন্তান সহ গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৮মার্চঃ
রাত পেরোলেই সকলে পালন করবেন আন্তর্জাতিক নারী দিবস। অথচ নারী অবমাননার দৃশ্য এখনও যে অহরহ দেখা যায় তারই প্রমান মিল আবারও। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে গৃহবধু কে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় আবারও একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো যে, যতই ধুমধাম করে নারী দিবস পালন করা হোক না কেন, আজও নারীরা সমাজে অবহেলিত। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে অন্ডাল পঞ্চায়েতের দুবচূরিয়ার শিব মন্দির এলাকায়। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , ১২বছর আগে বাঁকুড়ার বাসিন্দা টুম্পা লো-এর বিয়ে হয় দুর্গাপুরের দূবচুরিয়ার বাসিন্দা চিরঞ্জিত লো এর সাথে। এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার দম্পতির। শনিবার রাতে আগুন লাগিয়ে তাকে মারার চেষ্টা করেছিল স্বামী চিরঞ্জিত বলে অভিযোগ বধূ টুম্পার। টুম্পা দেবী জানান বিয়ের আগে থেকে স্বামীর অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছেন। এই নিয়ে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি হয়। তার উপরে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালায় চিরঞ্জিত। গতকাল রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে ফের অত্যাচার চালানোর চেষ্টা করেছি চিরঞ্জিত। ভয় পেয়ে রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হ টুম্পা। সে সময় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে সপরিবারে তাদের মারার চেষ্টা করে স্বামী বলে অভিযোগ টুম্পার। রবিবার সকালে ঘটনার খবর চাউর হতেই পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়রা ভিড় জমায় এলাকায়। পুলিশ এলে পুলিশকে ঘিরেও তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ ঘটনার পর পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টে অভিযুক্ত চিরঞ্জিতের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করে। যদিও ওয়াড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করে। পরিবারটি যাতে ভেঙে না যায় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছিল বলে পুলিশের দাবি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য অরুন মুখোপাধ্যায় জানান চিরঞ্জিত দীর্ঘদিন ধরে ওই টুম্পার উপর অত্যাচার চালায়। বহুবার তাকে সতর্ক করা সত্ত্বেও সে এই কাজ বারবার করেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয় পুলিশ।