“চাই না সন্তান”, প্রসূতির পেটে লাথি স্বামীর, মৃত্যু বাচ্চার
আমার কথা, পূর্ব বর্ধমান(কালনা) ১৪ মার্চঃ
স্বামীর সাথে সংসার করলেই নেওয়া যাবে না সন্তান তাই স্ত্রীর গর্ভে সন্তান এলে সেই সন্তান নষ্টের চাপ দেয় স্বামী আর তাতেই বেঁকে বসেন স্ত্রী। তার পরেই স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে পেটে লাথি মেরে গর্ভে থাকা চার মাসের সন্তানকে মেরে ফেলার অভিযোগ আনলেন স্ত্রী, স্বামী কামালউদ্দিন মন্ডলের বিরুদ্ধে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে স্বামী সহ আরও দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সন্তানহারা মা চায়না বিবি। এদিকে চায়না বিবির স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক।
জানা গিয়েছে, এক বছর আগে হুগলির বলাগড় থানা এলাকার আইদা গ্রামের চায়নার সাথে বিয়ে হয় কালনার ধর্ম ডাঙ্গা মোড়ের নিবাসী কামাল উদ্দিন মন্ডলের সাথে মুসলিম নিয়ম মেনে বিয়ে হয় বিয়ের কয়েক মাস পর স্বামীর সাথে সংসার করতে হলে সন্তান নেওয়া যাবে না এমন শর্ত দেন স্বামী কামাল উদ্দিন মন্ডল। বিয়ের পর ছয় মাসের মধ্যেই চায়না বিবির গর্ভে আসে সন্তান। এরপর সন্তান নষ্ট করার জন্য চাইনা বিবির ওপর চাপ দিতে থাকে চায়নার স্বামী বলে অভিযোগ। কিন্তু এই অমানবিক প্রস্তাব মানতে নারাজ চায়না বেঁকে বসে। শুরু হয় স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে গর্ভে থাকা সন্তানকে নষ্ট করার জন্য পেটে লাথি মারা হয়। তারপরই স্ত্রীর পেটে যন্ত্রণা এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। বাপের বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে হাসপাতালে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখে তারপরেই চিকিৎসকরা চায়না বিবির গর্ভে থাকা মৃত চার মাসের সন্তানকে অস্ত্রপচার করে বের করে নেয়। কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে কালনা থানায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে চায়না বিবি। তারপরই পালিয়ে যায় চায়নার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ।