দুর্গাপুরে বৌদিকে কুপিয়ে খুন করলো দেওর, জখম গৃহবধূর মা
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৪ জানুয়ারীঃ
বৌদিকে কুপিয়ে খুন করলো দেওর। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার বিধাননগর ফাঁড়ির অন্তর্গত কালীগঞ্জ এলাকায়। একই ব্যাক্তির হাতে জখম হয়েছেন গৃহবধূর মা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
কালীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বাম রুইদাস দুর্গাপুর নগর নিগমে কর্মরত। বামের ভাই বিষু রুইদাস এক সাথেই থাকেন। আজ শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ তার বৌদি বিন্দু রুইদাস(৩২) এর উপর ধারালো বটি নিয়ে চড়াও হয় দেওর বিষ্ণু। তাঁকে পর পর কোপাতে থাকে। সেই সময় বাড়িতে স্বামী বাম না থাকলেও ছিলেন বিন্দুর মা নিরূপা রুইদাস। তিনি মেয়েকে দেওরের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে তাঁকে বটির কোপ বসায় উন্মত্ত বিষ্ণু। তিনি তখন চিৎকার করে পাড়ার লোকজনকে ডাকেন। ছুটে আসেন এলাকাবাসীরা। পালানোর চেষ্টা করেন বিষ্ণু কিন্তু পুলিশের হাতে ধরা পরে যায়। এদিকে পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
ঘটনাস্থলে যান এসিপি(দুর্গাপুর) সুবীর রায়। তিনি জানান, “দুই ভাইয়ের সংসার ছিল। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গেছে পারিবারিক অশান্তির জেরে বৌদিকে কুপিয়ে খুন করেছে দেওর। তবে খুনের পেছনে আর কোনো কারন আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযুক্ত ধরা পরেছে আর আমাদের হেফাজতে আছে। তদন্তের স্বার্থে ফরেনসিক দল ডাকা হবে”।
এদিকে গৃহবধূর কাকা অরবিন্দ রুইদাস বিষ্ণু রুইদাসের পাশাপাশি তার বোনের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলছেন।
পাশাপাশি, বিষ্ণু রুইদাসের ভাইঝি প্রিয়া রুইদাস জানান, বিষ্ণুর স্বভাব চরিত্র ভালো ছিল না। সে মাঝে মাঝেই মোবাইলে নোংরা ছবি পাঠাতো আমাদের।
গৃহবধূর বাবার বাড়ি অন্ডালের খন্ডঘোষ এলাকায়। খবর পেয়ে গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা কালীগঞ্জে আসে। তারপরেই বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বাড়িতে। পুলিস বাধা দিতে গেলে পুলিশের সাথেও বচসা থেকে ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
এখন প্রশ্ন উঠছে এই খুনের পেছনে পারিবারিক অশান্তির কারন রয়েছে নাকি দেওরের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গৃহবধুকে খুন হতে হল?