পকেটে সুইসাইড নোটে লেখা “শেষ ইচ্ছে”, দুর্গাপুরে পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ ঘিরে রহস্য
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৬ মার্চঃ
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সংলগ্ন রসুলপুর থেকে দুর্গাপুরে ফার্মাসি নিয়ে পড়াশুনা করতে এসেছিল বিশাল দাস(২১। এই শহরের বিধাননগরের ডাঃ মেঘনাথ সরণী স্থিত একটি ফার্মেসি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা করছিল সে। কিন্তু হঠাতই শুক্রবার তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিশালের প্যান্টের পকেটে মিলেছে একটি নোট, যাতে লেখা রয়েছে “আমার জন্য যদি কেউ কষ্ট পায় তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার মৃতদেহ দাহ না করে সমাধি দেওয়া হোক।” আর এই নোটের বক্তব্যকে ঘিরেই ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য।
ফুলঝোড়ে একটি ভাড়া বাড়িতে তন্ময় দত্ত ও রাহুল দাস নামে আরো দুই পড়ুয়ার সাথে রুম শেয়ার করে থাকতো বিশাল। তন্ময় জানায় প্রতিদিনই অনেক বেলায় ঘুম থেকে ওঠে বিশাল। প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও সকাল ৮টা ৩০ ঘুম থেকে ওঠে বিশাল। সকাল ৯টায় প্রথমে তিন্ময় আর দুপুর ১টা নাগাদ রাহুল কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। রাহুল বেরোনো সময় দেখে যায় বিশাল বিছানায় শুয়ে মোবাইল দেখছে। বিশালকে খুব গম্ভীরও লাগছিল। এরপর বিকেলে বাড়ি ফিরে রাহুল আর তন্ময় দেখতে পায় ঘরের দরজা বন্ধ। দফায় দফায় বিশালকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে তাঁরা বাড়ির মালিককে জানায়। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ গিয়ে ঘরের জানলার কাঁচ ভেঙ্গে দেখে বিশালের দেহ ঘরের পাখা থেকে দড়ি দিয়ে ঝলছে। এরপর তাঁরা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিশাল সম্ভবতঃ আত্মঘাতী হয়েছে। তবে কি কারনে সে এভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।