দুর্গাপুরে টিউবয়েলের জলে মেশানো হয়েছে বিষ? আতঙ্ক
আমার কথা, কাঁকসা, ২৪ আগস্ট:
দুর্গাপুরে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের টিউবয়েলের জলে কে বা কারা মিশিয়ে দিল বিষ, এমন অভিযোগকে ঘিরে তোলপাড় দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম। আরো বেশ কয়েকটি বাড়ির টিউবয়েলেরও একই অবস্থা। তড়িঘড়ি টিউবয়েল সিল করে দিলো পঞ্চায়েত। জমিতে ধানের পোকা মারার তরল বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ গ্রামবাসীদের। জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে জানালো পঞ্চায়েত। বিষ জল আতঙ্কে দুর্গাপুরের গোপালপুর গ্রাম।
এ এক ভয়ঙ্কর ঘটনার শিকার হতে বসেছিল দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার একটি অঙ্গনওয়ারি স্কুল। স্কুলের টিউবয়েলের জল আচমকা ফ্যানা যুক্ত জল,সাথে বেরোতে থাকে তীব্র গন্ধ, স্থানীয়দের অভিযোগ, জমিতে ধানের পোকা মারার বিষাক্ত তেল কেউ বা কারা মিশিয়ে দিয়েছে এই জলে। অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের শিশু, গর্ভবতি ও প্রসূতি মহিলাদের রান্না বান্নার জন্য এই জল ব্যবহার হয়, গতকাল স্কুল ছুটির পর এক মহিলা টিউবয়েল থেকে জল নিতে গিয়ে প্রথম ফ্যানা লক্ষ্য করেন জলের মধ্যে, এমনকি তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ পান এই জল থেকে, সাথে সাথে তাঁরা পঞ্চায়েতকে জানান, এই কথা জানাজানি হতেই গ্রামের আরো তিনটি টিউবয়েলে একই ঘটনার পুনুরাবৃত্তি হয়, এবার পঞ্চায়েত তো বটেই পুলিশকেও জানানো হয় বিষয়টি। খবর পেয়ে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি কাঁকসা থানার পুলিশ এসে এই টিউবয়েলগুলি শিল করে দেয়। গোটা ঘটনায় আতঙ্কের আবহ কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরপল্লী সহ আশপাশ এলাকায়। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের তরফে জলের স্যাম্পেল নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই টিউবয়েলগুলি এলাকাবাসীর কাছে পানীয় জলের একমাত্র উৎস ছিল, এখন এই ঘটনায় জল নামে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গোটা গ্রামে।বেশ কয়েকটি বাড়িতেও একই ঘটনা ঘটেছে। যদি এই শিশু ও বাড়ির লোকজনরা এই জল খেত তাহলে জীবন হানির মতো বড় ঘটনা ঘটে যেত বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসিরা। যেখানে জলই জীবন তখন এই জলে কে বা কারা মেশালো বিষ???কি বা তাদের স্বার্থ??? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলে। কাঁকসা থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।