কাঁকসায় প্রতিবাদ কর্মসূচীতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ভিড় এড়িয়ে টলমল পায়ে গিয়ে জঙ্গলে ঠাঁই বামকর্মীর
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(কাঁকসা), ২৬আগস্টঃ
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচীকে জনবিরোধী আখ্যা দিয়ে আজ কাঁকসা সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল বামেদের তরফে।
“আমরা লালপার্টির দল ভার্চুয়াল মিটিং করার টাকা আমাদের নেই। করোনার থেকেও বড় যন্ত্রণা আমাদের দেশে। করোনায় তো মাত্র আটান্ন হাজার মানুষ মারা গেছে। কিন্তু না খেতে পেয়ে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ মারা যাচ্ছে। যক্ষায় মারা যাচ্ছে, ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে, কলেরায় মারা যাচ্ছে। বড় যন্ত্রণা, এরা দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে”- ঠিক এভাবেই যখন দেশবাসীর স্বার্থের কথা, যন্ত্রণার কথা তুলে ধরার দায়িত্ব পালন করছিলেন কাঁকসার বাম নেতা বীরেশ মন্ডল ঠিক সেই সময়ই ওই চত্বরে এই যন্ত্রণা ভুলতে আকন্ঠ পান করে দলের ঝান্ডা প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্ব পালনে দেখা গেল একজন বাম সমর্থককে। টলমল পায়ে দলের কর্মীদের কাছে পৌঁছনোর আপ্রাণ চেষ্টা, কিন্তু দলীয় পতাকার কোনো অবমাননা হতে দেওয়া যাবে না, এমনটাই বার্তা তাঁর শারীরিক কসরতে। যেন “ঝান্ডা উঁচা রহে হামারা”।
বিষয়টা অবশ্যই ভাবার আছে। একদিকে যখন বাম নেতা বীরেশবাবু বিষয়টাকে এভাবে দেখছেন যে “করোনার থেকেও ভয়ানক পরিস্থিতি দেশে। রেললাইন, গ্যাস, মাটির নিচে তেল, সোনা, অভ্র সমস্ত বিক্রি করে দিচ্ছে তখন, করোনার ভয়ে ঘরে রাস্তায় না নেমে কি ঘরে বসে থাকব?” হয়ত ঠিকই বলছেন তিনি আর যেখানে বীরেশবাবু জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধির মানার ব্যাপারে সেখানে তাই তো ছোট ছোট বাচ্চারাও আজ এই করোনা আবহে প্রতিবাদের ভিড়ে মিশে গেছে। বীরেশবাবু আজকের প্রতিবাদের এই ভয়ানক ছবি কি বলছে যে আপনারা শিশু, নারী, পুরুষ নির্বিশেষে যে ভিড় তৈরী করেছেন তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে? এমনটাই প্রশ্ন তুলছেন শিল্পাঞ্চলের সচেতন নাগরিকদের একাংশ।
আর সর্বপরি ওই বাম কর্মী যিনি টলমল করতে করতে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ভিড় এড়িয়ে জঙ্গলে গিয়ে ঠাঁই নিলেন তার বেলা?