অবহেলিত নজরুল, দৈন্য দশা আবক্ষ মূর্তির, উদাসীন প্রশাসন
আমার কথা, কুলটি, ২৪ মেঃ
ক্যালেন্ডারের তারিখ ধরে মনীষিদের জন্মদিন কিংবা মৃত্যু দিন পালিত হয় এই রাজ্যে। মহা সমারোহে দিনগুলি উদযাপিতও হয়। এরকমই একটি দিন ২৪ মে। আজকের এই দিনে পশ্চিম বর্ধমানের চুরুলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কাজী নজরুল ইসলাম। আগামীকাল সর্বত্র এই দিনটিতে এই বিদ্রোহী কবির জন্মদিন মহা ধুমধামের সাথে পালন করবে আট থেকে আশী করলেই। কিন্তু এই জেলারই কুলটির নিয়ামতপুরে নজরুল শিশু উদ্যানটি এদিনও অবহেলিত। রক্ষণেবেক্ষণের অভাবে দৈন্য দশা উদ্যানটির। হেলদোল নেই প্রশাসনের।
১৯৯৮ সালে তৎকালীন কুলটি পুরসভার উদ্যোগে নিয়ামতপুরে জাতীয় সড়কের ধারে তৈরি হয়েছিল এই নজরুল সিসু উদ্যানটি। মহা সমারোহে উদ্যানে বসানো হয়েছিল নজরুল ইসলামের একটি আবক্ষ মর্মর মূর্তিও। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই সেই উদ্যানটি শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে ম্রিয়মান হয়ে পরেছে। বছরের পর বছর অবহেলার কারনে বন্ধও হয়ে যায় এই উদ্যানটি। শিশু উদ্যানে যায় না শিশুরা, গাছ থাকলেও তার কোনো পরিচর্চা হয় না। নোংরা আবর্জনায় ভরে গেছে। একই দৈন দশা উদ্যানের মূর্তিটির। কোনো রকম যত্ন যে হয় না তার ছাপ পড়েছে নজরুলের মূর্তিটিতেও। মূর্তিটির নাক, চোখ ভেঙ্গে গেছে। অথচ এসব দেখাশুনার দায়িত্ব যে প্রশাসনের উপর সেই প্রশাসনের নেই কোনো হুঁশ।
রাজ্য জুড়ে যেখানে শাসক বিরোধী সব দলগুলি মনীষিদের নিয়ে এত মাতামাতি করে, সেখানে এই জেলার এক কোনে এভাবে অবহেলায় পড়ে রয়েছেন কাজী নজরুল ইসলাম আর তা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা।