লকডাউনের মধ্যে পালিয়ে বিয়ের পরেই কনেকে ফেলে পালালো বর, লাউদোহায় চাঞ্চল্য
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৪মেঃ
মন্দিরে বিয়ে আর তারপরেই কনেকে ছেড়ে গা ঢাকা দেয় পাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর(লাউদোহা) থানার অন্তর্গত ইছাপুর গ্রামে। পলাতক পাত্রের খোঁজে তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গেছে, আসানসোলের বারাবনী ত্থানার অন্তর্গত খাঁড়াবর গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জুরি কর্মকারের সাথে বছর দেড়েক আগে পরিচয় হয় ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দা কৌশীক সামন্তর। পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। মঞ্জুরীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, মঞ্জুরীর অন্যত্র বিয়ে স্থির হয়েছিল। আজ সোমবার সেখানেই তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পাত্রকে বিয়ে করতে রাজী ছিল না মঞ্জুরী। এরই মধ্যে আজ হঠাৎ করেই তাঁরা জানতে পারেন যে মঞ্জুরী কোয়শিককে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। এরপর তাঁরা আসানসোল থেকে ইছাপুর গ্রামে কৌডিকের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। কিন্তু সেখানে জানতে পারেন যে, স্থানীয় একটি মন্দিরে মঞ্জুরী আর কৌশিক বিয়ে করেছে ঠিকই কিন্তু কৌশিকের পরিবার থেকে এই বিয়ে মেনে নেয়নি আর মঞ্জুরীর সাথে তাঁরা দুর্ব্যবহারও করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। আর তারপরেই মঞ্জুরীকে রেখে দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় কৌশিক বলে অভিযোগ। ফলে চরম সমস্যার মুখে পড়ে মেয়েটির পরিবার। মঞ্জুরীর দাদা তন্ময় কর্মকার বলেন যে, গ্রামবাসীদের ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সকলের সামনেই তাদের মেয়ে বৌ রূপে মেনে নিতে হবে কৌশিকের পরিবারকে। যদিও কৌশিকের এক কাকা জানান,মেয়েটি ও ছেলেটি দুজনেই নাবালক এখন কিভাবে তাদের বিয়ে সম্ভব? অন্যদিকে মেয়েটির জন্মের প্রমান পত্র হিসাবে তার মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ডের হিসাবে বয়য়াড১৯ বছর ৫ মাস ১৫ দিন। এরপর ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সাহায্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে ফরিদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মঞ্জুরীকে কৌশিকের বাড়িতে সুরক্ষিত রাখার কথা বলে যায়।