করোনার সংক্রমণ এড়াতে দুর্গাপুরের বেনাচিতি সহ বিভিন্ন জায়গার বাজার সরছে ফাঁকা মাঠে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২৮মার্চঃ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে সারা ভারত জুড়ে চলছে লকডাউন। এই লকডাউনে মূলতঃ ঘর থেকে অপ্রয়োজনে বাইরে না বেরোনো সাথে খুব প্রয়োঝনে বাইরে বেরোলেও একে অপরের থেকে কম পক্ষে এক মিটার দুরত্ব বজায় রাখতে হবে এমনটাই নির্দেসিকা জারি করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আর এই নির্দেসিকা অমান্য করলেই সেই ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিবর্গের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে ঘরবন্দী থাকতে আপত্তি না হলে খাদ্যাভাবে পরিবারের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য সকালে মূলতঃ বাজারগুলিতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় রীতিমতো করোনার সংক্রমনের আতঙ্ক বাড়িয়ে দিচ্ছে।বারবার আবেদন করেও ব্জার থেকে এই ভিড় সরানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে বাজারগুলিকে ফাঁকা মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্গাপুর প্রশাসন। আর তা মাইকিং করে ইতিমধ্যে দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা মাঠে বাজার বসলে তাতে সতর্কতামূলক দুরত্বও বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে মনে করছে দুর্গাপুর প্রশাসন আর তাদের এই উদ্যোগকে সাধবাদও জানিয়েছেন আপামোর শিল্পাঞ্চলবাসী।
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে উপচে পরা ভিড় দেখে প্রশাসন তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নেয় যে এই বেনাচিতির সবজি বাজার আজ অর্থাৎ শনিবার থেকে এ জোনে দেশবন্ধুনগর ময়দানে স্থানান্তরিত করা হবে আর মাছের বাজার বসবে হর্ষবর্ধন রোডের দিশারী সংঘ ক্লাব ময়দানে।
অপরদিকে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর ও বাজার কমিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে এলাকা পরিদর্শণ করে এই সিদ্ধান্ত নেন যে আগামীকাল থেকে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙ্গার ঘোষ মার্কেট কে ব্লকের মাঠে ও মুচিপাড়ার বাজার বসবে মিতালী সংঘের মাঠে।
অপরদিকে সব থেকে বেশী দুর্গাপুরের যে সেন মার্কেট নিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল প্রশাসন সহ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে, সেই সেন মার্কেটের বাজার নিয়ে পদক্ষেপ নিলো প্রশাসন। সেন মার্কেটের খুচরো ব্যবসায়ীরা এবার থেকে জীবনদ্বীপ নার্সিংহোমের সামনে বসবে যেখানে বাজার করতে আসা ক্রেতারা নিজেদের মধ্যে সতর্কতামূলক দুরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করবেন আর পাইকারী বিক্রেতারা সেন মার্কেটের তাদের বিক্রিবাটা করতে পারবেন।