করোনা যুদ্ধে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে মহরমে অস্ত্রের ঝঙ্কার বদলে গেল রক্তের প্লাজমা দানে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৩০আগস্টঃ
করোনাকে খুব সামনে থেকে তিনি দেখেছেন, শুধু দেখেছেন বলা ভুল হবে তিনি করোনালে নিজের শরীরে প্রত্যক্ষ করেছেন আর সেই উপলব্ধি থেকে তাগিদ অনুভব করেই আজ রক্তের প্লাজমা দান করলেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী তথা দুর্গাপুরের একজন বিশিষ্ট সঞ্চালক কিংশুক গুপ্ত।
কোভিড যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন এরকম কয়েকজন শিল্পাঞ্চলবাসীকে বেছে নিয়ে তাদের কাছে রক্তের প্লাজমা দানের আবেদন রাখা হয়েছিল দুর্গাপুর মহকুমা ভলেন্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের পক্ষ থেকে। আজ মহরমের এই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয় এই মহতি উদ্যোগের শুরুর দিন হিসেবে। সেই আবেদনে সাড়া দেন সেপকো টাউনশিপের বাসিন্দা কিংশুক গুপ্ত। কিংশুকবাবু জানান হয়েছিল দুর্গাপুর মহকুমা ভলেন্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সভাপতি কবি ঘোষ তাঁকে প্লাজমা দানের আবেদন জানান আর সেই আবেদন পেয়ে তিনি রীতিমতো আপ্লুত। কোভিড জয় করার পর এ যেন এক আলাদা তৃপ্তি, কারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটা একটা বিশাল তৃপ্তি।
অপরদিকে, এই ফোরামের সভাপতি কবি ঘোষ বলেন, পঁচিশ জন রক্তদাতা এইদিন রক্তদান করেন এর থেকেও বড় বিষয় দুর্গাপুরের কিংশুকের যোগদান, আরো ভালো লাগার ব্যাপার কিংশুক বাবুর স্ত্রীও প্লাজমা দান করতে এসেছিলেন কিন্তু সরকারের কিছু বিধি নিষেধ থাকায় তার রক্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিন মহরম উপলক্ষ্যে দুর্গাপুরের মুসলিম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে এইদিন একটি রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় সিটিসেন্টারে,যে শিবিরের সহযোগিতায় ছিল দুর্গাপুর মহকুমা ভলেন্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম।
মহরমে অস্ত্রের ঝংকার নয়, মহরমে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে রক্ত ঝরানোর প্রয়োজনীয়তা নেই, বরং সেই রক্তকে প্যাকেটজাত করে যাতে মানুষের সেবার কাজে লাগানো যেতে পারে সেই ভাবনা থেকেই এ বছর মহরমে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে ব্যতিক্রমী রক্তদানের আয়োজন করা হয়েছিল এমনটাই জানালেন বিশিষ্ট আইনজীবি আয়ুব আনসারি।