প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ
আমার কথা, লাউদোহা, ১৫ অক্টোবরঃ
প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ছড়ালো উত্তেজনা। সোমবার সন্ধ্যা বেলায় ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার চন্দ্রডাঙ্গা গ্রামে। সংঘর্ষে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর। দ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান তৃণমূল দলের জেলা সভাপতি।
সোমবার দুর্গাপূজার বিসর্জনকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্দ্রডাঙ্গা গ্রামে। সংঘর্ষে নাম জড়ায় শাসকদলের দুটি গোষ্ঠীর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সোমবার সন্ধ্যেবেলায় প্রতিমা বিসর্জনের জন্য প্রস্তুতি চন্দ্রডাঙ্গা গ্রামের মিতালী সংঘ ষোলআনা পুজোর । এই সময় ঘটে সংঘর্ষের ঘটনাটি। ষোল আনা পুজো কমিটির পক্ষে রাহুল পাল, আনন্দ পাল-রা অভিযোগ করেন বিসর্জনের প্রস্তুতির সময় গ্রামেরই একদল তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রমণ করে। পুজো কমিটির লোকজনকে ব্যাপক মারধর করা হয় । প্রতিরোধ করতেই বেঁধে যায় দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট। সংঘর্ষে আহত হন আট থেকে দশজন। ষোলআনা কমিটির পক্ষে উদয় কুমার ঘোষ নামে এক ব্যক্তির আঘাত গুরুতর বর্তমানে সে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তারা। স্থানীয়দের দাবি পুজো কমিটির লোকজন ও হামলাকারীরা সকলে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ। দলের দুটি গোষ্ঠী এখানে বিবাদমান। দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিমার একটি হাত ভেঙে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। গন্ডগোলের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসছে গোগলা পঞ্চায়েতের এক মহিলা সদস্যার স্বামীর নাম। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ। গতকালের পর মঙ্গলবারও এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে এলাকায় রয়েছে পুলিশ পিকেট। থানা সূত্রে জানা যায় দুপক্ষের তরফ থেকেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন দ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। দলের ব্লক সভাপতি কে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। দলের দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের সভাপতি শতদ্বীপ ঘটক বলেন দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা নেবে।