পুলিশ কুকুর দিয়ে তদন্ত, পারিবারিক বিবাদের কারনে খুন হলেন অবসরপ্রাপ্ত খনিকর্মী?
আমার কথা, লাউদোহা, ২৭ জুনঃ
বুধবার রাতে লাউদোহার কালিপুর গ্রামে নিজের নির্মীয়মান বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অবসরপ্রাপ্ত খনি কর্মী পূর্ণচন্দ্র (কাজল) ঘোষের মৃতদেহ। দেহের উপর অংশে ছিল গভীর আঘাতের চিহ্ন। তা দেখে পূর্ণচন্দ্র বাবুকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল পরিবারের। বৃহস্পতিবার সকালে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠাও হয়। গুলিবিদ্ধ হয়েই খুন হয়েছেন পূর্ণচন্দ্র বাবু বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় যে বা যারাই যুক্ত থাকুক শীঘ্রই তাদের চিহ্নিত করে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
পারিবারিক সম্পত্তির বিবাদের কারণেও পূর্ণচন্দ্রবাবু খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে মত অন্য অংশের। রহস্য মৃত্যুর জট উদঘাটনে বৃহস্পতিবার বেলা একটা নাগাদ প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে এসে তদন্ত চালায় পুলিশ। নির্মীয়মান বাড়ির দোতলাতে যেখানে গতকাল রাতে পূর্ণচন্দ্র বাবুর দেহ পড়েছিল সেখান থেকেই শুরু হয় এদিনের তদন্ত। ঘটনায় স্থলের পর ছাদের কার্ডর নিচে এসে দাঁড়ায় প্রশিক্ষিত কুকুরটি। তারপর সেখান থেকে পাশের একটি খামারবাড়ি হয়ে গ্রামের মূল রাস্তার উপর এসে দাঁড়ায় কুকুরটি। এখান থেকে প্রশিক্ষিত প্রশিক্ষিত কুকুরটিকে ফের ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। তবে কুকুর এনে তদন্তে কোন সূত্র পাওয়া গেছে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় রয়েছে চাঞ্চল্য।