জঙ্গল মহলের গুরুত্বপুর্ণ রাস্তায় সেচ দপ্তরের সেতুতে মরণফাঁদ, নির্বিকার প্রশাসন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(কাঁকসা), ২৭ নভেম্বরঃ
কাঁকসা জঙ্গলমহলের গুরুত্বপুর্ন রাস্তার উপরেই রয়েছে সেচ দপ্তরের ক্যানেলের উপরে সেতু আর সেই সেতুতে রয়েছে মরণফাঁদ। দিনের বেলায় সেই মরণফাঁদকে নজর করে চলছেন পথচারী থেকে সাইকেলচালক, বাইক চালক। টোটো আর অটো এই এলাকার একমাত্র পরিবহণ মাধ্যম। সারাদিন অসংখ্য টোটো যাতায়াত করে যাত্রী নিয়ে। সন্ধ্যা নামতেই এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াতে ভয় করে পথচারীদের। সুর্য অস্ত যেতেই জঙ্গলের বিশাল শাল্গাছের মাঝে এই মরণফাঁদকে আর দেখা যায় না। সাইকেল চালকেরা প্রাণ হাতে করেই পারাপার করেন। বাইক চালকদের কথায় গতির একটু ভুলচুক হলেই ঘটে যেতে পারে প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা।
সেচ দপ্তরের সেতুর মাঝেই রয়েছে এক বিশাল গর্ত। মাস খানেক আগে ঢালাই করে দেওয়া হয় কিন্তু সে ঢালাই উঠে যায় দু একদিনের মধ্যে। সেতুর অর্ধেক অংশ জুড়ে হাঁ করে রয়েছে বিশাল গর্ত। শিশুরাও খেলছে সেতুর সিমেন্টের রেলিং ধরে। একটু ভুলচুক হলেই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।
এমনটাই হয়ে রয়েছে ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের জঙ্গল মহল এলাকার রাজকুসুম গাঁড়াদহ আর তেলাবুনি গ্রামের চার মাথার মোড়ে সেচ দপ্তরের সেতুর উপরেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সেচ দপ্তরের কোন নজরদারি নেই তারা নির্বিকার এই সেতুর সংস্কারের বিষয়ে।
টোটো চালক রাজকুমার আঁকুড়ে বলেন এই রাস্তা জাতীয় সড়কের সাথে মিলছে তাই বিভিন্ন এলাকার প্রচুর বাইক চালক টোটো চালক এই শর্টকার্ট পথেই যাতায়াত করে। তিনি বলেন সন্ধ্যা হলেই ভয় বাড়ছে এবং সন্ধ্যার সময় বেশ কয়েকজন সাইকেল নিয়ে পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন গর্তে পড়ে গিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ সামসুর রহমান বলেন গ্রামাঞ্চল বলে স্ট্রিট লাইটের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে রাতের দিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। তার কথায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচিৎ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজয় মুখোপাধ্যায় বলেন কাঁকসা প্রশাসনিক ভবন যাওয়ার জন্য এলাকার সব গ্রামের বাসিন্দারা এবং শিল্পতালুকে কর্মরত বিভিন্ন গ্রামের শ্রমিকেরা এই শর্টকার্ট রাস্তাকে ব্যবহার করে কারন জাতীয় সড়কের সাথে যুক্ত এই রাস্তা। তার কথায় সেচ দপ্তরের উচিৎ দ্রুত সংস্কার করা কারন স্কুল চালু হয়েছে কাঁকসার বিভিন্ন স্কুলে পড়তে যায় এই অঞ্চলের পড়ুয়ারা ।
কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য বলেন জানা নেই তবে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাবেন।
গলসির বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই বলেন তার জানা নেই তবে তিনি সেচ দপ্তরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলবেন।