ভিনরাজ্যে নিষিদ্ধ আলু রপ্তানীতে বাংলা ঝাড়খন্ড চেকপোস্টে সক্রিয় দালাল চক্র?
আমার কথা, আসানসোল, ১১ আগস্ট:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি বন্ধ করতে আসানসোলের বাংলা ঝাড়খন্ড সীমানা ডুবুরডি চেকপোষ্টে ঝাড়খন্ড গামী ১৯নম্বর জাতীয় সড়কে চেকিং করা হচ্ছে কুলটি ট্রাফিক গার্ড পুলিশ ও কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশের পক্ষ থেকে। যেখানে পুলিশ চেকিং করে আলু বোঝাই ট্রাক গুলি পুনরায় ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছ যাতে ভিন রাজ্যে আলু বোঝাই ট্রাক না যেতে পারে। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন বেশ কিছু ট্রাকের চালক ও খালাশী। সীমানাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক আলু বোঝাই ট্রাক। এদিকে ট্রাক চালকদের অভিযোগ দালালরা আসছে, যোগাযোগ করছে সীমানা পার করে দেওয়ার জন্য। ট্রাক সীমানা পার হয়েও যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ট্রাক চালকরা।
কি করে হচ্ছে?
আলু বোঝাই ট্রাকের বিল পেপারের পরিবর্তে অন্য নকল বিল পেপার দিয়ে সীমানা পার হয়ে ঝাড়খন্ডে চলে যাচ্ছে বলে জানান সীমানায় আটকে থাকা আলু বোঝাই ট্রাকের চালকরা।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে বাংলা ঝাড়খন্ড সীমানা ডুবুরডি চেকপোস্টে?
অপর দিকে দেখা গেলো আরো এক ছবি। বাংলা ঝাড়খন্ড সীমানা ডুবুরডি চেকপোষ্টের সামনে এক ট্রাক চালকের হাতে একটি টোকেন যেখানে লেখা রয়েছে ট্রান্সপোর্ট ক্লিয়ারিং এজেন্ট (চিকুদা )চিরকুন্ডা বর্ডার (আসানসোল)এর পর ট্রাকের নম্বর ও ৫০০টাকা সহ তারিখ উল্লেখ রয়েছে। ওই চালক জানান বাংলার প্রবেশের জন্য ৫০০টাকা দিয়ে চিকুদার কাছে নিয়েছি এই টোকেন।
এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কুলটি ব্লক যুব তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি বিমান দত্ত বলেন “জনগণের অভিযোগেই বোঝা যাচ্ছে অন্যায় একটা হচ্ছে৷ আমি অবিলম্বে পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুরোধ করবো পুলিশ অধিকারিক হিসাবে যে বা যারা মুখমন্ত্রীর আদেশ কে অমাণ্য করছে, তাঁদের কঠোর শাস্তির অনুরোধ করবো প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের”। সাথে টোকেনের বিষয়টি নিয়েও সরব হন তিনি। কে এই চিকু? কিসের ছাড়পত্র দিচ্ছে? কিসের টাকা নিচ্ছে? উঠছে প্রশ্ন? এই চিকুকে গ্রেফতারের দাবিও জানান তৃণমূল নেতা।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা টিঙ্কু বর্মা বলেন ডুবুরডি চেকপোষ্টে এই যে দুর্নীতি চলছে সেখানে যদি টোকেনের মাধ্যমে সিস্টেমটা চলছে তাহলে সেখানে পুলিশ আছে, আর এই ধরণের কাজ পুলিশ প্রশাসনের নজরে অবশ্যই রাখা দরকার। কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে কে টোকেন চালাচ্ছে টোকেনের গুরুত্ব কি? দালাল চক্র থাকে তাহলে এতে পশ্চিম বাংলার বদনাম হচ্ছে।
সাথে কুলটি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি সুকান্ত দাস বলেন “কিভাবে একটা দালাল চক্র কাজ করছে যে এত বেপরোয়া ভাবে টোকেন দিচ্ছে? পুলিশ প্রশাসন তারা কি করছে? প্রশাসনের মদতেই হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।