মহাকুম্ভে মৃত্যু জামুড়িয়ার টোটো চালকের, মেলেনি ডেথ সার্টিফিকেট, সমস্যায় পরিবার

আমার কথা, জামুড়িয়া, ৩১ জানুয়ারীঃ
মৌনী অমাবস্যার তিথি শুরু ‘অমৃতস্নান’ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাত দুটোয় মহাকুম্ভের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে, সাথে আহত রয়েছেন বহু পুণ্যার্থী। মৃতদের তালিকায় নাম রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়ার বাসিন্দা বিনোদ রুইদাস(৪২) এর। নিজের শ্যালক, শ্যালকের এক বন্ধুর সাথে প্রয়াগরাজে পুন্যস্নানে যান তিনি। কিন্তু ফিরে এলো তাঁর নিথর মরদেহ। তবে বিনোদের মরদেহ জামুড়িয়ায় নিয়ে আসা হলেও উত্তরপ্রদেশ সরকার থেকে মেলেনি কোনো ডেথ সার্টিফিকেট। ফলে বনোদের এই মৃত্যুতে উত্তরপ্রদেশ সরকার থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় শুরু হয়েছে পরিবারে।
জামুড়িয়ার বাসিন্দা বিনোদ রুইদাস পেশায় একজন টোটো চালক। বিনোদের পরিবারে রয়েছে তাঁর বাবা মা, স্ত্রী ও সন্তান। মৌনী অমাবস্যা তিথি শুরু হতেই মহাকুম্ভে অমৃতস্নান করতে প্রবল জন সমাগম ঘটে। সেই মহাকুম্ভে যোগ দিতে ২৭ জানুয়ারী বাড়ি থেকে শ্যালক ও শ্যালকের বন্ধুর সাথে রওনা দেন তিনি। বেনারস পৌঁছোনোর পর ফোনে স্ত্রী শর্মিলার সাথে কথাবার্তা হয়। কিন্তু এর পর থেকেই বিনোদকে আর খুঁজে পাওয়া যাছিল না বলে নিজের দিদিকে ফোনে জানান বিনোদের শ্যালক। এরপর যখন বিনোদের খোঁজ পাওয়া যায় ততক্ষণে সব শেষ। বিনোদের শ্যালক বিষ্ণু রুইদাস জানান, তাঁর জামাইবাবু কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাথে বিনোদের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরেন বিষ্ণু। মৃতদেহ প্রথমে জামুড়িয়া থানার কেন্দা ফাঁড়িতে আনা হয়। এরপর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পুতুল ব্যানার্জি জানান, “উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনোদের মৃত্যুর জন্য কোনো ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। কেন যে সার্টিফিকেট দেওয়া হল না তা আমরা বুঝতে পারছি না। এদিকে উত্তরপ্রদেশ সরকার থেকে ২৫ লক্ষ টাকা করে যে আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করেছে, সেই টাকা পেতেও তো অসুবিধা হতে পারে।”
বিনোদ তাঁর পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন। এদিকে ডেথ সার্টিফিকেট না পাওয়ায় বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়েছে বিনোদের পরিবার। ফলে বিনোদের মৃত্যুতে ঘটনায় শোকে ভেঙ্গে পড়ে বিনোদের পরিবার।