শুভেন্দুকে পান্ডবেশ্বরে প্রার্থী হওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ভোটে হারানোর দাবি জিতেন্দ্রর
আমার কাথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ৭ফেব্রুয়ারীঃ
শুভেন্দু অধিকারী যদি নিজেকে বড় নেতা ভাবেন তাহলে এবার বিধানসভা ভোটে তিনি পাণ্ডবেশ্বর আসনে বিজেপির প্রার্থী হন। কথা দিচ্ছি গো-হারা হারিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। রবিবার পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূলের দলীয় সভায় এভাবে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন পান্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
রবিবার যখন একদিকে আসানসোলে সভা করছিলেন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপি যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী। তখন পাণ্ডবেশ্বরে দলীয় সভা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এদিন মহামিছিল ও সভা কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। দুপুর তিনটে নাগাদ মিছিলটি শুরু হয় পাণ্ডবেশ্বর বিডিও অফিস মোড় থেকে, শেষ হয় রেলস্টেশনে। সেখানে এরপর জনসভা করেন বিধায়ক। এদিনের মহামিছিলে প্রায় কুড়ি হাজার কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন বলে তৃণমূলের দাবি।
রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে আয়োজিত সভায় বক্তৃতায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জিতেন্দ্রর বাবু। বলেন দুদিন হল বিজেপিতে গিয়েছেন। নিজেকে বড় নেতা প্রমাণ করার জন্য এখন বড় বড় কথা বলছেন। মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে কুরুচিকর কথা ও মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তারপরই তিনি বলেন শুভেন্দুবাবু যদি এত বড় নেতা হন তাহলে তিনি এবার বিধানসভা ভোটে পাণ্ডবেশ্বর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে দেখান। কথা দিচ্ছি ৫০ হাজার ভোটে হারিয়ে অনাকে বাড়ি পাঠাবো। হিম্মত থাকলে শুভেন্দ বাবু আমার এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন বলেন জিতেন্দ্রর তেওয়ারি। তিনি বলেন আজকের মহামিছিলে মানুষের যে ঢল দেখলাম তাতে বলে দেওয়ার আর প্রয়োজন নেই যে এখান থেকে এবার তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। বক্তৃতায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগার পাশাপাশি তিনি দলের ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যও বার্তা দেন। নরেন বাবুর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন কেউ কেউ দলের কর্মীদের মারধর করে বোমা ফাটিয়ে দলের বদনাম করার চেষ্টা করছেন। সন্ত্রাস করে নিজের প্রভাব দেখাতে চাইছেন। যে বা যারা এই কাজ করছেন এবার তাদের সংযত হওয়ার সময় হয়েছে। ফের গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলে এবার ”পাড়ায় সমাধান”-এর দাওয়াই দেওয়ার নিদান দেন তিনি। বলেন মানুষের সমস্যার সমাধানের জন্য রাজ্যে ”দুয়ারে সরকার”- কর্মসূচি চলছে। সেরকমই দলের কেউ মস্তানি দেখালে অথবা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে এবার থেকে তাঁর বিরুদ্ধে পাড়ায় সমাধানের ওষুধ প্রয়োগ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।