কাঁকসায় শুভেন্দুর সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জিতেন্দ্র, কর্ণেল, সুনীল, বাড়ছে দল বদলের জল্পনা?

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৬ডিসেম্বরঃ
দ্দুর্গাপুরে একটি সভা থেকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারীর বিস্ফোরক ভাষণের পর শিল্পাঞ্চল রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতামত জিতেন্দ্র তিওয়ারী এবার শুভেন্দু অধিকারীর পথেই নাকি হাঁটতে চলেছেন। এবার সেই জল্পনাকে আরো একধাপ বাড়িয়ে কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরীকে সাথে নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়ি পৌঁছোলেন আসানসোলের মেয়র, সেখানে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দিয়েছেন কর্ণেল ও জিতেন্দ্র তিওয়ারী।
সন্ধ্যে ৬টা ২৫ মিনিট নাগাদ সুনীল মণ্ডলের বাড়ি পৌঁছে যান জিতেন্দ্র তিওয়ারী ও কর্ণেল। সেখানেই সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ আসেন শুভেন্দু অধিকারী। শুরু হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক। এই বৈঠকে আরো উপস্থিত যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন শুভেন্দু অনুগামী গুসকরার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়, কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু, পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্ধমানের জেলা পরিষদের সদস্য নুরুন হাসান। এছাড়াও ছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪নং বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আজ একই দিনে ঘটেছে অনেকগুলি ঘটনা, যা কোনো মতেই কাকতালীয় হতে পারে না। এই ঘটনা অনেক কিছু ইঙ্গিত বহন করছে। প্রথমতঃ আজ সকালে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের নামে কাঁকসা থানা ও তাঁর বাড়ির কাছে পোস্টার পরে শুভেন্দু অধিয়াকারীর অনুগামীদের নামে যেখানে সুনীলবাবুকে তাঁরা “দাদা”র সাথে দেখতে চান বলে লেখা ছিল। দ্বিতীয়তঃ শুভেন্দু অধিকারীর আজ বিধানসভায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা প্রদান, তৃতীয়তঃ দুর্গাপুরে সভামঞ্চ থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারীর শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিষোদগার। সাথে দিন কয়েক আগে শহর দুর্গাপুরে বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখরের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিতি। সব মিলিয়ে কি দল বদলেরই দিক নির্দেশ করছে? সেটার জন্য হয়ত অপেক্ষা হয়ত আর কিছু দিনের।