বিজেপিতে যোগ দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারী, দলের ক্ষতি হবে না মত তৃণমূল নেতাদের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ২মার্চঃ
অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটল। পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি যোগ দিলেন বিজেপিতে। আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ২০১৬ সালে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভায় তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়ে বিধায়ক হন। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হঠাৎই দলের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। অভিযোগ করেন রাজনৈতিক কারণে আসানসোল এলাকার উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কার্যকারী মেয়র, দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফাও দেন জিতেন বাবু। তখনই জল্পনা বারে সম্ভবত তিনি যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। কিন্তু সে সময় বিজেপির সংসদ বাবুল সুপ্রিয় সহ একাধিক নেতা তাকে দলে নিতে আপত্তি করেন। শেষ পর্যন্ত কলকাতায় গিয়ে দলের রাজ্য নেতাদের সাথে বৈঠক করে তিনি দাবি করেন তিনি তৃণমূলেই ছিলেন আর তৃনমূলেই থাকবেন। কিন্তু দলে থাকলেও দল তাকে কার্যকরী মেয়র পদ অথবা জেলার সভাপতির পদ ফিরিয়ে দেয়নি। তার দলে থাকা নিয়ে পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের অন্দরে। জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও দলের ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে দলীয় কর্মসূচিতে এক মঞ্চে দেখা যায়নি এরপর থেকে। জিতেন বাবু ফের যে কোনদিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এই রকম একটা খবর দীর্ঘদিন ধরে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোনা যাচ্ছিল। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বাবুল সুপ্রিয়র প্রতিক্রিয়ায় প্রথমে সেই জল্পনা তীব্র হয়। বাবুল সুপ্রিয়ো জানান বেশ কিছুদিন ধরেই জিতেন বাবুর সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। তিনি বলেন রাজনৈতিক কারণে রাজ্য সরকার আসানসোলের উন্নয়ন করতে দেয়নি এই কথা বলে জিতেন বাবু সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। জিতেন বাবু তৃণমূলের বড় নেতা, তিনি বিজেপিতে যোগ দিলে দলের শক্তি বাড়বে বলেও বাবুল সুপ্রয়ো জানান। গত রবিবার দুর্গাপুরের একটি হোটেলে বিজেপি নেতাদের সাথে জিতেন বাবুর বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই জিতেন বাবুর বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারটি নিশ্চিত হয় বলে সূত্রের খবর। আজ মঙ্গলবার রানাঘাটে বিজেপির একটি কর্মসূচিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে জিতেন্দ্র তিওওয়ারী বিজেপিতে যোগ দিলেন। ওই মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়ও।
এদিকে জিতেন বাবুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল নেতারা জানান উনি দল ছাড়লে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। লাউদোহা ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন বিধায়ক দল ছাড়লে দলের কিছু যায় আসে না, দলের কর্মীরা দলের সাথেই থাকবে। ঠিক ভোটের মুখে দলকে বিপদে ফেলে কেউ যদি অন্য দলে যায় তাহলে তাকে বেইমান ছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই বলে জানান সুজিত বাবু।
পাণ্ডবেশ্বর এর ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দলের মিটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছি।