লছিপুরের নিষিদ্ধপল্লিতে নাবালিকা পাচার, প্রশাসনিক হানায় আটক ৬৩ জন মহিলা ও পুরুষ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(আসানসোল), ৫ আগস্টঃ
শিলিগুড়ির পর পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার অন্তর্গত লছিপুরের দিশা যৌন পল্লীতে আচমকা অভিযান চালিয়ে ৪৬ জন মহিলা ও ১৭ জন পুরুষকে আটক করলো রাজ্য শিশু ও মহিলা কমিশন। বুধবার রাতে কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল অভিযান চালায় কুলটির লছিপুর নিষিদ্ধ পল্লীতে, সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক বিভু গোয়েল, আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর কমিশনার অজয় ঠাকুর সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ও বিশাল পুলিশবাহিনী। আচমকা এই হানায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। ঘরে ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে নিষিদ্ধপল্লিতে এসে পড়া নাবালিকাদের উদ্ধার করেন তাঁরা।
কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী জানান- গোপন সূত্রে তাঁরা খবর পান যে সেখানে পাঁচ ছয়জন নাবালিকাকে দেহব্যাবসায় নামানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী ছক কষে তারা ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান। পাওয়া যায় ৪৬জন।। এরা কোথাকার বাসিন্দা তা এখনো জানা যায়নি, তবে জানার চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে একই সাথে ১৭ জন যুবককে আটকও করা হয়। এখন এদের বয়স তদন্ত করে দেখা হবে। যদি নাবালিকা হয় তাহলে এদেরকে হোমে পাঠানো হবে।
জেলাশাসক বিভু গোয়েল জানান মহিলা কমিশনের সহযোগিতায় এই অভিযান চালানো হয়। তাদের গোপন সূত্রে খবর পান এখানে মেয়ে পাচার করা হচ্ছে, তাই তারা এই তল্লাশি চালাচ্ছেন। সমস্ত ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং কোভিড প্রটোকল মেনে এই ব্যবসা চলছিল কিনা তাও পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট কমিশনের অজয় কুমার ঠাকুর জানান নাবালিকাদের উদ্ধারকাজে তারা এই তল্লাশি চালিয়েছে। কোভিড নিয়ম মেনে এই ব্যবসা চলছিল না। তাই তারা এর সঠিক ব্যবস্থা নেবে। তবে মেয়েদের উদ্ধার করার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত করে দেখতে হবে কতজন মেয়ে নাবালিকা উদ্ধার করল।