দুর্গাপুরে আহত বিজেপি কর্মীকে দেখতে এসে বারাবনীর ঘটনায় পুলিশের ভুমিকার নিন্দা করলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৫ডিসেম্বরঃ
বারাবনী থনার জামগ্রাম এলাকায় বিজেপির “আর নয় অন্যায়” মিছিলে দুষ্কৃতি হামলার ঘটনায় আহত কালীচরন দাস নামে বিজেপি কর্মীকে দুর্গাপুরে দেখতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। এদিন তিনি বারাবনীর ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে তীব্র নিন্দা করেন। বলেন যে, “আজকের এই ঘটনা ছোট ঘটনা নয়। বিজেপির এই শান্তিপূর্ণ মিছিলকে যদি পুলিশ আর তৃণমূল আটকানোর চেষ্টা করে তাহলে আমরা সেটা মেনে নেবো না। পুলিশ এতদিনে দলদাসে পরিনত হয়েছে দেখেছি কিন্তু এখন অপরাধেও সামিল হচ্ছে এদিনের ঘটনা সেটাই প্রমান করল। আজকে যে আমাদের এই মিছিল বের হবে তা পুলিশকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। তারপরেও পুলিশের উপস্থিতিতে যেভাবে মিছিলে হামলা হল তা এই রাজ্যেই সম্ভব আর আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি”
প্রসঙ্গতঃ বারাবনী থানার জামগ্রাম এলাকায় বিজেপির মিছিলে হামলা করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ আজ ‘আর নয় অন্যায়’নামে একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি ৷ অভিযোগ, মিছিল শুরুর আগেই লাঠি, বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিলে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা ৷ এই ঘটনায় কালীচরণ দাস নামে এক বিজেপি কর্মীর বুকে গুলি লেগেছে৷ বর্তমানে তিনি দুর্গাপুরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকেই দেখতে এসেছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
তিনি এদিন আরো বলেন যে, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতিদের হাতে ক্রমাগত বিজেপি কর্মীরা হয় খুন হচ্ছে নয়ত জখম হচ্ছে। এখন পর্যন্ত্য ১৩০জন আমাদের কর্মী এই রাজ্যে খুন হয়েছেন, আর এর পেছনে হাত রয়েছে তৃণমূল সরকারের। সারা রাজ্যে হিংসার রাজনীতি করছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার। আমরা চাইলেই হিংসা দিয়ে এর জবাব দিতে পারি। আমরা হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। ভবিষ্যেতেও আমরা হিংসার রাজনীতি করব না। আসানসোলে বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়াদের দৌরাত্মের পেছনে হাত রয়েছে শাসকদলের। এর বিরুদ্ধে সারা রাজ্যে আন্দোলন করবে ভারতীয় জনতা পার্টি, বললেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।