“সিপিএম বিজেপি মুগ মুসুর ডাল”- এভাবেই দুর্গাপুরে প্রচার শুরু করলেন কীর্তি আজাদ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১২ মার্চ:
খেলা ছেড়েছেন অনেকদিন হল, কিন্তু খেলতে যে ভোলেননি তা আবার প্রমান করলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন সদস্য তথা বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমুল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। ক্রিকেটের ২২ গজ হোক, কিংবা ভোটের ২২ গজ, তিনি তখনো ছক্কা হাঁকাতেন আর এখনো ছক্কা হাকাচ্ছেন। এমনটাই দৃশ্য দেখলেন দুর্গাপুরের মানুষজন। দিন দুয়েক হল প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ভিড়িঙ্গী কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন কীর্তি আজাদ। পুজো সেড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাঁকে ঘিরে তৈরী হয়েছে নানা বিতর্ক। বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন কীর্তি আজাদের বাবা বাংলা ও বাঙ্গালী বিরোধী ছিলেন। এহেন বাবার ছেলেকে কি করে বাংলায় প্রার্থী করা হয়। এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অমিত মালব্য একজন মানসিক রোগী। সারা দেশে তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে। বিভিন্ন জায়গায় তিনি পনেরোবার ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পেয়েছেন। আমার বাবা যদি সত্যিই দোষী হতেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ বা এফআইআর নেই কেন? আসলে বিজেপি ভয় পেয়ে গেছে। বহিরাগত প্রশ্নে তৃণমূলের এই প্রার্থী বলেন, “আমি যদি বহিরাগত হই তাহলে মোদিজি কি? তিনি গুজরাটের বাসিন্দা হয়ে কি করে বেনারসে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন? এবারেও দাঁড়াচ্ছেন। আমি তো তবু বহুবার বাংলায় এসেছি। দুর্গাপুরে, বার্ণপুরে ইন্টার স্টিল খেলেছি, রঞ্জি খেলেছি ইডেনে। খেলোয়াড়দের আলাদা করে কোনো জাতি বা ধর্ম হয় না। এরপরেই তিনি একহাত নেন সিপিএমকে। দিল্লি ক্রিকেট বোর্ডে কর্তা থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল আর তা নিয়েই সরব হয়েছে বামেরা। সেই প্রসঙ্গে কীর্তি আজাদ বলেন, সিপিএম আর বিজেপি হল মুগ আর মুসুর ডাল। এরা যদি মায়ের দুধ খেয়ে থাকে তাহলে আমার বা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা এক পয়সার অভিযোগ প্রমান করে দেখাক। মাননীয় অরুন জেটলি আজ আর বেঁচে নেই। দিল্লি ক্রিকেট বোর্ডের সরকারী খাতায় চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সরব হয়ে ছিলাম। আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই এই সব বাজে কথা বলছে। নরেন্দ্র মোদির গ্যারান্টিকে এবার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওয়ারেন্টি চাপা দিয়ে দেবে। এদিন কীর্তি আজাদের এই বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারি দুর্গাপুরের ভোটারদের মনে কতটা প্রভাব ফেললো তা ইভিএম মেশিনই বলে দেবে।